Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

প্রমোদদা থাকুন, চায় প্রেসিডেন্সির দু’প্রজন্মই

শুক্রবার প্রমোদদার ক্যান্টিন বাঁচাতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টিকোয় এক প্রতিবাদ সভায় জমা হয়েছিলেন প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা। তাঁদের সকলেরই দাবি, প্রমোদদার ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।

খোশগল্প: প্রাক্তনীদের সঙ্গে প্রমোদ সোয়াইন (বাঁ দিকে)।  শুক্রবার প্রেসিডেন্সিতে। নিজস্ব চিত্র

খোশগল্প: প্রাক্তনীদের সঙ্গে প্রমোদ সোয়াইন (বাঁ দিকে)। শুক্রবার প্রেসিডেন্সিতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০১:৪৩
Share: Save:

প্রেসিডেন্সির ‘ক্যান্টিন-প্রেম’ মুছে দিল দুই প্রজন্মের ফারাক।

শুক্রবার প্রমোদদার ক্যান্টিন বাঁচাতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টিকোয় এক প্রতিবাদ সভায় জমা হয়েছিলেন প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা। তাঁদের সকলেরই দাবি, প্রমোদদার ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ প্রমোদদার ক্যান্টিনের জায়গায় নতুন ক্যান্টিন তৈরির জন্য টেন্ডারের ডাক দিয়েছেন। টেন্ডারে যে সব শর্ত পূরণ করতে বলা হয়েছে, তা প্রমোদদার পক্ষে মেটানো সম্ভব নয় বলে দাবি বর্তমান পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী, দুই প্রজন্মেরই। তাঁদের মতে, প্রেসিডেন্সির ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রমোদদার ক্যান্টিন। এই ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ— প্রেসিডেন্সির সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে আঘাত করা।

৪৭ বছর আগে জেঠুর হাত ধরে কটক ছেড়ে এই শহরে এসেছিলেন প্রমোদ সোয়াইন। এখন যেখানে ছাত্র সংসদের ঘর, সেখানেই ছিল পুরনো ক্যান্টিন। ১৩ বছর বয়সে কিশোর প্রমোদ সেখানে কাজ শুরু করেন। ভিন্‌ রাজ্যের প্রেসিডেন্সি ক্রমে হয়ে ওঠে তাঁর ‘নিজের বাড়ি’। হয়ে যান পড়ুয়াদের ‘প্রমোদদা’।

এ দিন তিনি জানান, কটকে তাঁর বউ ও মেয়ে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর মন এখানেই বাঁধা পড়েছে। বাস্তবের মুখে দাঁড়িয়ে প্রমোদদা বললেন, ‘‘এখন যা পরিস্থিতি, তাতে তো চলেই যেতে হবে।’’

উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার বক্তব্য, পুরো বিষয়টাতে স্বচ্ছতা রেখেই যা করার করা হচ্ছে। এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ প্রাক্তনীরা। এ দিন প্রাক্তনী সংসদের সচিব বিভাস চৌধুরী বলেন, ‘‘টেন্ডারে এমন সব শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা প্রমোদদার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। ক্যান্টিন থেকে বছরে মোট ৫০ লক্ষ টাকা আয় হলে তবেই টেন্ডারে আবেদন করা যাবে। এত ব্যবসা করা কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন মালিকের পক্ষেই সম্ভব নয়!’’ এ দিনের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত এক প্রাক্তনী অমিত চৌধুরীর ক্ষোভ, ঐতিহ্য উপড়ে ফেলে সব কিছুতেই কর্তৃপক্ষের বাণিজ্যিকরণের ইচ্ছে চোখে পড়ছে।

তবে হাল ছাড়তে নারাজ প্রাক্তনীরা। রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী সংসদের সভাপতি জয়ন্ত মিত্র ইতিমধ্যেই উপাচার্যকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সংসদের আর্জি, প্রমোদদাকে যেন অন্তত ক্যান্টিনের ম্যানেজার করে রাখা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE