Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

চলন্ত বাসে তাণ্ডব যুবকদের, গ্রেফতার ২

চলন্ত বাসের মধ্যে যাত্রীদের সামনেই দুই মহিলাকে নিগ্রহের পাশাপাশি যে ভাবে কন্ডাক্টরকে মারধর করা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠেছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৫৫
Share: Save:

বেসরকারি বাসে উঠেছিল জনা আটেক যুবক। বাস ফাঁকা হলেও তারা দাঁড়িয়েছিল ফুটবোর্ডে। যাত্রীদের ওঠানামায় অসুবিধা হচ্ছে দেখে কন্ডাক্টর প্রতিবাদ করতেই রণংদেহী মনোভাব নেয় তারা। বাসের জানলার কাচ ভাঙচুর শুরু করে। এমনকী কন্ডাক্টরের টাকার ব্যাগও কেড়ে নিতে যায়। প্রতিবাদ করেন বাসে থাকা এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে। অভিযোগ, তাঁদের কটূক্তির পাশাপাশি মেয়েটিকে সিট থেকে তুলে বাসের মধ্যে ফেলে দেয় ওই যুবকেরা। নিগ্রহ করা হয় মেয়েটির মাকেও। পরে বাস থামলে দু’জন বাদে বাকিরা পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে টালিগঞ্জ থানা এলাকার দেশপ্রিয় পার্ক থেকে কালীঘাটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তেরা সকলেই খিদিরপুরের বাসিন্দা। দু’জন গ্রেফতার হলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বাকিরা পলাতক। ধৃতদের মধ্যে এক জন নাবালক বলে পুলিশের দাবি।

চলন্ত বাসের মধ্যে যাত্রীদের সামনেই দুই মহিলাকে নিগ্রহের পাশাপাশি যে ভাবে কন্ডাক্টরকে মারধর করা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠেছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে।

পুলিশ জানায়, ভবানীপুরের বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষিকা ওই অভিযোগকারিণী জানান, সোমবার তাঁর মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। রাত ন’টা নাগাদ তাঁরা গড়িয়াহাট থেকে থ্রি সি বাই ওয়ান রুটের বাসে ওঠেন। অভিযোগ তিনি জানিয়েছেন, দেশপ্রিয় পার্কের কাছে ওই আট যুবক ওঠে। প্রথমে তারা নিজেদের মধ্যে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে মারামারি শুরু করে। অভিযোগ, যাত্রীদের ওঠানামায় অসুবিধা হতে দেখে কন্ডাক্টর প্রতিবাদ করলে তারা গালিগালাজ করতে থাকে। এর মধ্যেই দু’জন ভিতরে ঢুকে জানলার কাচ ভেঙে দেয়। এমনকী কন্ডাক্টরের ব্যাগও ছিনিয়ে নিতে যায়। ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘‘কন্ডাক্টর তাঁর টাকার ব্যাগটি এক বয়স্ক মহিলার হাতে দিয়ে দেন। মারধর করতে দেখে আমি প্রতিবাদ করি। এর মধ্যেই এক যুবক আমার মেয়েকে টেনে রীতিমতো ছুড়ে ফেলে দেয় বাসের মধ্যে।’’

পুলিশ জানায়, বাসের বেশির ভাগ যাত্রীই প্রতিবাদ করেননি। তবে এক পুরুষ যাত্রী লালবাজারে ফোন করেন। কালীঘাটের কাছে বাস দাঁড় করিয়ে দেন চালক। মহিলাদের চেঁচামেচি শুনে একটি ক্লাবের যুবকেরা এগিয়ে এলে কয়েক জন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। তবে দু’জনকে ধরে টালিগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ওই শিক্ষিকার আক্ষেপ, ‘‘বেশির ভাগ যাত্রী প্রতিবাদ না করে বাস থামার সুযোগে পালিয়ে গিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE