Advertisement
E-Paper

সরলো ধ্বংসস্তূপ, তবুও অনিশ্চয়তায় বাসিন্দারা

হাঁফ ছেড়ে যেন বাঁচলেন কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট-রবীন্দ্র সরণির উড়ালপুল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। সাড়ে তিন সপ্তাহ পার করে অবশেষে সরল ধ্বংস্তূপ। কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট ও বিবেকানন্দ রোডের সংযোগস্থলে ভেঙে-পড়া উড়ালপুলের ধ্বংসাবশেষ শুক্রবার রাতেই সরিয়ে ফেলার কাজ সম্পন্ন হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৫১
ভেঙে পড়া অংশ পুরোপুরি সরানোর পরে। শনিবার। — শুভাশিস ভট্টাচার্য

ভেঙে পড়া অংশ পুরোপুরি সরানোর পরে। শনিবার। — শুভাশিস ভট্টাচার্য

হাঁফ ছেড়ে যেন বাঁচলেন কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট-রবীন্দ্র সরণির উড়ালপুল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। সাড়ে তিন সপ্তাহ পার করে অবশেষে সরল ধ্বংস্তূপ। কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট ও বিবেকানন্দ রোডের সংযোগস্থলে ভেঙে-পড়া উড়ালপুলের ধ্বংসাবশেষ শুক্রবার রাতেই সরিয়ে ফেলার কাজ সম্পন্ন হল।

তবে রাস্তা পরিষ্কার হলেও পুলিশ-প্রশাসন অবশ্য এখনই কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট থেকে বিবেকানন্দ রোডের দিকে যান চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে না। গত ৩১ মার্চ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে দু’-তিন দিনের মধ্যেই রবীন্দ্র সরণির উপরে যান চলাচল শুরু হয়েছিল। কিন্তু কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিটের দিকটায় বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে থাকা উড়ালপুলের অংশ সরানো নিয়েই এত দিন জেরবার ছিল প্রশাসন। কেএমডিএ-র তরফে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডকে (আরভিএনএল) ৫ এপ্রিল ভাঙা অংশ পরিষ্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। চুক্তিমাফিক তিন সপ্তাহের মধ্যেই তারা সেই কাজ
শেষ করেছে।

গোয়েন্দাপ্রধান দেবাশিস বড়াল এ দিন বলেন, ‘‘কেএমডিএ অনুমতি দিলেই বন্ধ থাকা রাস্তায় গাড়ি চলার অনুমতি দেওয়া হবে।’’ কেএমডিএ-র তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে উড়ালপুল-সংক্রান্ত ‘হাই-পাওয়ার কমিটি’ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কেএমডিএ-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার (এরিয়া ডেভেলপমেন্ট) সুপ্রিয় মাইতির কথায়, ‘‘কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিটের দিকে উড়ালপুলের যে অংশটা টিকে আছে, সেটা কতটা নিরাপদ তা বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন। হাই-পাওয়ার কমিটি এ বিষয়ে আশ্বাস দিলেই আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাব।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য এখনও কিছু
আশঙ্কা রয়েছে। উড়ালপুল ভেঙে-পড়ার সময়ে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই বাড়িগুলো সারাইয়ের ব্যাপারে কী করা হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি প্রশাসন।

দুর্ঘটনাস্থলটিতে এখন টিকে আছে শুধু, উড়ালপুলের ৪০ নম্বর স্তম্ভের ভগ্নাংশ। ওই জায়গা থেকেই সেতু ভেঙে পড়ে বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান। পুলিশি তদন্তেও উড়ালপুলের ওই অংশটি বার বার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রেলের নির্মাণসংক্রান্ত উপদেষ্টা ‘রাইট্‌স’ ও রাজ্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে পুলিশ এখনও ওই অংশটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে। উড়ালপুলের ওই অংশের নির্মাণে কোনও গলদ ছিল কি না, নির্মাণের সময়ে গুণমানে আপস করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভেঙে পড়া স্তম্ভ থেকে নমুনা সংগ্রহ করল পুলিশ। শনিবার দুপুরে গণেশ টকিজে উড়ালপুলের চল্লিশ নম্বর স্তম্ভ থেকে ভেঙে পড়া অংশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গোয়েন্দাপ্রধান দেবাশিস বড়াল বলেন, ‘‘দু’দিন ধরে উড়ালপুলের
চল্লিশ নম্বর স্তম্ভের ভাঙা অংশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই নমুনা সল্টলেকের ন্যাশনাল টেস্ট হাউসে পাঠানো হচ্ছে।’’

vivekananda flyover vivekananda flyover collapse
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy