বৃহস্পতিবার দুপুরে আগাম জামিন মামলার শুনানির দিন ঠিক করে, রাতেই কেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হল— তা নিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ।
মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত বিক্রম ৫ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে আগাম জামিনের আর্জি জানান। সেই মামলা তালিকার নীচের দিকে ছিল। বৃহস্পতিবার বিক্রমের আইনজীবী শেখর বসু বিচারপতি দত্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন জানান, মামলার শুনানির দিন এগিয়ে আনা হোক। কারণ, পুলিশ যে কোনও সময় তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করতে পারে। ওই সময় ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি রুদ্রদীপ্ত নন্দী। অভিযুক্ত ও সরকার পক্ষের আইনজীবীদের মত নিয়ে বিচারপতি দত্ত ১৩ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেন।
বিক্রমের আইনজীবী শেখরবাবু বিচারপতি দত্তের আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, গ্রেফতারি নিয়ে তাঁর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। একই সঙ্গে প্রবীণ ওই আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, শুনানির দিন ধার্য হয়েছে জেনেও পুলিশ বিচার প্রক্রিয়া এড়িয়ে তাঁর মক্কেলকে ধরেছে। এই অতিসক্রিয়তার কারণ জানতে চান শেখরবাবু। বিচারপতি দত্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান— বৃহস্পতিবার রাতেই যদি গ্রেফতারির প্রয়োজন হবে, তা হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানির দিন ধার্যের সময় সরকারি কৌঁসুলি সহমত হলেন কেন?
পিপি জানান, বিক্রম তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না। তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারেন, এমন খবরও ছিল। তদন্তকারীরা তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শুনে শেখরবাবু আদালতের কাছে আবেদন জানান, পিপি-র বক্তব্য নথিভুক্ত করতে। বিচারপতি দত্ত পিপি-র উদ্দেশে বলেন, ‘‘মামলার শুনানির দিন ধার্য হওয়ার সময়, সরকার পক্ষ এই সব কথা জানাননি কেন? প্রয়োজনে সরকারি কৌঁসুলি বৃহস্পতিবারই শুনানি করার আবেদন জানাতে পারতেন। তা তিনি করেননি।’’
এ দিন বিচারপতি দত্ত দু’পক্ষকে জানান, আগাম জামিনের মামলাটির শুনানি হবে ১১ জুলাই মঙ্গলবার।
হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ জানান, অভিযুক্ত বিক্রম গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় আগাম জামিনের মামলাটির আর গুরুত্ব রইল না। তবে, মামলাটি আদালতে নথিভুক্ত হয়ে যাওয়ায় সেটি নিষ্পত্তি হওয়াটা প্রয়োজন। তাই মঙ্গলবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy