Advertisement
০৩ মে ২০২৪
জোড়াসাঁকো

ব্যবসায়ী খুনে ধরা পড়ল ভাড়াটে যুবক

হাতের তালুর ক্ষতই ধরিয়ে দিল অভিযুক্তকে। ছুড়ি দিয়ে খুন করার সময়ে ডান হাতের তালু কেটে গিয়েছিল, কোথাও সেই ক্ষতের চিকিৎসা না করিয়ে একটি ম্যাটাডরে তিন দিন ধরে আশ্রয় নিয়েছিল সে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৬ ০১:৫৭
Share: Save:

হাতের তালুর ক্ষতই ধরিয়ে দিল অভিযুক্তকে।

ছুড়ি দিয়ে খুন করার সময়ে ডান হাতের তালু কেটে গিয়েছিল, কোথাও সেই ক্ষতের চিকিৎসা না করিয়ে একটি ম্যাটাডরে তিন দিন ধরে আশ্রয় নিয়েছিল সে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মহম্মদ সাজিদ। বাড়ি বিহারে। তাকে জোড়াসাঁকোর বলাই দত্ত স্ট্রিটে ব্যবসায়ী খুরশিদ আলমকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের পিছনে ম্যাটাডর স্ট্যান্ডের একটি গাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়। ধৃত যুবক খুরশিদ আলমের ভাড়াটে। গত মার্চ মাস থেকে খুরিশদের বাড়িতে ভাড়া থাকত সে। সাজিদ গাড়ির খালাসির কাজ করত।

পুলিশ জানায়, রবিবার খুরশিদের ঘরে ঢুকে তাঁর গলায় ছুরি দিয়ে কোপ মারা হয়। তখন সাজিদের হাতও কেটে যায়। খুনের পরে এক জন সাজিদের ওই ক্ষত চিহ্ন দেখেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই যুবক খুনের দায় স্বীকার করেনি বলে জানায় পুলিশ। আজ, শুক্রবার সাজিদকে আদালতে তোলা হবে।

পুলিশ জানায়, গত রবিবার সকালে গলা কাটা অবস্থায় খুরশিদ আলম নামে ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করা হয়। খুরশিদের রক্তাক্ত দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর এক কর্মচারী। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে পরিচিত কেউ জড়িত বলে সন্দেহ হয়। রবিবার বিকেলে কলকাতায় ফেরেন খুরশিদের বড় ছেলে আমানত। তিনিই বাবার সঙ্গে থাকতেন। কিন্তু একটি কাজে শনিবার শহরের বাইরে গিয়েছিলেন আমানত।

পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় নিহত বৃদ্ধের কেউ জড়িত সন্দেহ করেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সেই সময়ে আমানাত জানান, তাঁর বাবার সঙ্গে সাজিদের সবচেয়ে বেশি খাতির ছিল। তদন্তকারীরা সাজিদের খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, রবিবার থেকে খোঁজ নেই তার। এলাকার কয়েক জন জানান, রবিবার হাতে ক্ষত নিয়ে ঘুড়তে দেখা গিয়েছিল সাজিদকে। সাজিদ যে গাড়ির খালাসির কাজ করে, তার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। মালিক জানান, সাজিদ গত রবিবার থেকে গাড়ির মধ্যেই থাকছে রাতে।

লালবাজার জানিয়েছে, সব সূত্র মেলার পরেই বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের পিছনে ম্যাটাডর স্ট্যান্ডে হানা দেওয়া হয়। সাজিদকে ধরার পরে ওই গাড়িতেই মেলে খুরশিদের ‌মোবাইল।

কিন্তু কেন খুন করা হল খুরশিদকে? গোয়েন্দাদের অনুমান, সাজিদের সঙ্গে খুরশিদের সুসম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রেই সাজিদের অনুমান ছিল খুরশিদকে মারলে ওই ঘর থেকে টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু তা হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Businessman Murder Arrested Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE