Advertisement
০৬ মে ২০২৪

অমান্য পুর-নির্দেশিকা, ফুটপাথে হকাররাজ

ফুটপাথে হকার নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছিল কলকাতা পুরসভা। গড়া হয়েছিল কমিটি। দেওয়া হয়েছিল নির্দেশিকা। কিন্তু সেই নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে স্থায়ী দোকান। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ফুটপাথ দিয়ে ঠিকমতো হাঁটা যায় না। ফলে রাস্তায় নামতে হয়।

নিয়ম ভেঙে এগুলিই এখন স্থায়ী দোকান। ছবি:  স্বাতী চক্রবর্তী।

নিয়ম ভেঙে এগুলিই এখন স্থায়ী দোকান। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৪ ০৪:৩৫
Share: Save:

ফুটপাথে হকার নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছিল কলকাতা পুরসভা। গড়া হয়েছিল কমিটি। দেওয়া হয়েছিল নির্দেশিকা। কিন্তু সেই নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে স্থায়ী দোকান। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ফুটপাথ দিয়ে ঠিকমতো হাঁটা যায় না। ফলে রাস্তায়

নামতে হয়।

পুরসভা সূত্রের খবর, ২০০৫-এর শেষের দিকে ফুটপাথ পথচারীদের চলাচলের উপযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। সেই সময় মেয়র ছিলেন সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ঠিক হয়েছিল হকারদের রেখেও ফুটপাথ সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযুক্ত করতে হবে। এর জন্য অ্যাপেক্স কমিটি তৈরি হয়। ওই কমিটিতে ছিলেন, মেয়র পারিষদ, হকার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং পুরসভার আধিকারিকরা। কয়েকটি বৈঠকের পরে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়।

পুরসভা সূত্রে খবর, তিনটি বিষয় ঠিক হয়। প্রথমত, ফুটপাথে কোনও স্থায়ী দোকান থাকবে না। প্রতিটি দোকানের তলায় চাকা লাগানো থাকবে। রাতে দোকানটি ফুটপাথ থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়ত, ফুটপাথের তিন ভাগ চলাফেরার জন্য ছেড়ে দিতে হবে। আর কোনও হেরিটেজ ভবনের সামনে কোনও দোকানই থাকবে না।

কিন্তু অভিযোগ, শহরের নানা জায়গায় এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। যেমন, এসপি মুখার্জি রোড বা এসএসকেএম-এর পাশের ফুটপাথে প্রায় সব গাড়িতেই চাকা আছে। কিন্তু চাকাগুলি খারাপ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, দোকানগুলি সরানো হয় না। মানা হয় না ফুটপাথ তিন ভাগ ছেড়ে বসার নিয়মও। এই অঞ্চলের নিত্যযাত্রী শুভময় হালদার বলেন, “২০০৬-এ নতুন দোকান বসল। ভাবলাম সমস্যা মিটবে। কিন্ত কোনও লাভ হল না। আগের মতো এখনও ফুটপাথে চলতে অসুবিধা হয়।” অধিকাংশ দোকানেই আবার চাকা লাগানো নেই। সাঁতরাগাছির বাসিন্দা কমল সরকার বলেন, “রবীন্দ্রসদনের ফুটপাথে এখন কোনও দোকান নেই। ফলে হাঁটতে অসুবিধা হয় না। শহরের অন্য জায়গায়গুলি এমন হলে ভাল হত।”

বিকাশবাবু বলেন, “আমাদের বোর্ড থাকার সময়ে ফুটপাথে হকার বসা নিয়ে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিছুটা কাজ হয়েছে, কিছুটা হয়নি। ফুটপাথ পথচারীদের চলাচলের উপযুক্ত করার পাশাপাশি হকারদের জীবিকা সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করেছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, ফুটপাথ এখন অনেকটাই দখল হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।” পুরসভা সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারও বিকল্প হকারনীতি তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

hawker kolkata municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE