বড়দিনের সন্ধ্যায় একটি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে ‘মিনি স্টেটমেন্ট’ নিয়ে চোখ কার্যত কপালে উঠেছিল তেঘরিয়ার বাসিন্দা অভিজিত্ দাসের। তিনি দেখেন, সাত দিন আগে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু এই লেনদেন সংক্রান্ত কোনও এসএমএস তিনি পাননি বলেই অভিজিত্বাবুর দাবি।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতদের খপ্পরে পড়েছেন বুঝতে পেরে ২৬ ডিসেম্বর তেঘরিয়ার রঘুনাথপুর এলাকার স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শাখায় যান এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্তা অভিজিত্বাবু। তাঁর অভিযোগ, সেখানে ম্যানেজারের ঘরে বসে সিসিটিভি দেখার সময়ে ফের তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। অভিজিত্বাবু বলেন, “দ্বিতীয় বারেও লেনদেন সংক্রান্ত কোনও এসএমএস পাইনি।” বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
কী ভাবে হল জালিয়াতি? অভিজিত্বাবু জানান, তাঁর ওই অ্যাকাউন্টে চেকে লেনদেনের সুবিধা নেই। ব্যাঙ্ক তাঁকে জানিয়েছে, উইথড্রয়াল স্লিপ দিয়ে ব্যাঙ্কের শাখা থেকেই টাকা তোলা হয়েছে। দু’দিনই লেনদেন হয় নির্দিষ্ট একটি কাউন্টার থেকে। প্রশ্ন উঠেছে, উইথড্রয়াল স্লিপ দিয়ে টাকা তুলতে গেলে অ্যাকাউন্ট মালিককে হাজির হতে হয়। এমনকী পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করতে হলে দেখাতে হয় প্যান কার্ডও। এত বিধিনিষেধ ও কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিজিত্বাবু।
কী ভাবে এই লেনদেন হল, তা নিয়ে বিশদে কোনও কথা বলতে চাননি ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। তিনি শুধু বলেন, “যা বলার ওই গ্রাহককে বলা হয়েছে।” তবে বাগুইআটি থানার এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার-সহ বেশ কয়েক জন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি লেনদেন সংক্রান্ত সব নথিপত্র ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। ঘটনায় ব্যাঙ্কের কোনও কর্মীর গাফিলতি আছে কি না বা কোনও কর্মী এতে যুক্ত কি না তা-ও দেখা হচ্ছে। কোন তারিখ কোন সময়ে ঠিক কোন কাউন্টার থেকে ঘটনাটি ঘটেছে তা ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বার করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy