ঘন কুয়াশা, যান্ত্রিক গোলযোগ বা বিমানসেবিকার অভাব। গত সাত দিনে বিভিন্ন কারণে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বিমান যাত্রীদের। বিপত্তি কাটল না মঙ্গলবারও। এ দিন সকাল থেকে ঘন কুয়াশার জন্য প্রায় দু’ঘণ্টা বিমান চলাচল ব্যাহত হল কলকাতা বিমানবন্দরে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সকাল ৬টার পর থেকে কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতা নামতে থাকে। কলকাতায় অবতরণের জন্য সাধারণত সর্বনিম্ন ৩৫০ মিটার দৃশ্যমানতা লাগে। সকালে তা পৌঁছয় ৫০ মিটারের কাছাকাছি। বন্ধ রাখতে হয় বিমান চলাচল। কলকাতা থেকে উড়তে পারেনি দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু-সহ দেশের অভ্যন্তরীণ কোনও রুটের উড়ান। পোর্ট ব্লেয়ারের আন্তর্জাতিক উড়ানও ব্যাহত হয়। ফলে, বিমান ধরতে এসে চূড়ান্ত হয়রানি হয় যাত্রীদের।
সূত্রের খবর, বিভিন্ন বিমান সংস্থা মিলিয়ে পনেরোটিরও বেশি উড়ান এ দিন সময়ে যাত্রা শুরু করতে পারেনি। এই সময়ে অন্য জায়গা থেকে কলকাতায় আসা কোনও বিমান অবতরণও করতে পারেনি। মুখ ঘুরিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হয় সেগুলিকে। সকাল ৮টার কিছু পরে দৃশ্যমানতা স্বাভাবিক মাত্রার উপরে উঠলে ফের শুরু হয় বিমানের ওঠা-নামা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও প্রচুর বিমানই উড়েছে নির্দিষ্ট সময়ের অনেকটাই পরে।
তবে, এই সমস্যার সমাধান খুঁজে ইতিমধ্যেই তা প্রয়োগ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানান কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানান, বিমান যাতে সাড়ে তিনশো মিটার দৃশ্যমানতায় নির্বিঘ্নে ওঠানামা করতে পারে সে জন্য বর্তমানে বিমানবন্দরে বসানো রয়েছে ক্যাট ২ নামের একটি যন্ত্র। এর থেকে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র হল ক্যাট ৩বি। দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে গেলেও ক্যাট ৩বি-র সাহায্যে নিরাপদে নেমে আসতে পারবে বিমান। দেশের মধ্যে একমাত্র দিল্লি বিমানবন্দরেই এই প্রযুক্তি রয়েছে। এ বার তা বসবে কলকাতাতেও। এই প্রকল্পে ৩২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা এ দিন বলেন, “ক্যাট ৩বি বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরে শীতের মরসুম ঘুরে আসার আগেই ক্যাট ৩বি-র ব্যবহার চালু করা সম্ভব হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy