প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের নাম ভাঁড়িয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল দুই ব্যক্তি। সোমবার দুপুরে সল্টলেক থেকে ধরা পড়ে বিপ্লব দে ও সুনীল বর্মা নামে ওই দু’জন। আবার এ দিনই ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে সল্টলেকেই ধরা পড়ে আরও দুই ব্যক্তি। ধৃতদের নাম অনিল রাজভড় এবং শম্ভুকুমার তাঁতী।
পুলিশ জানায়, প্রথম ঘটনায় প্রতারকেরা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ব্যক্তিগত সচিবের নাম করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো কাজ হচ্ছে না দেখে চাকরীপ্রার্থীরা সল্টলেকের এক পুরকর্তার দ্বারস্থ হন। তাঁরই নির্দেশে স্থানীয় কিছু যুবক জালিয়াতদের ধরতে ফাঁদ পাতে। দুই যুবক নিজেদের চাকরিপ্রার্থী পরিচয় দিয়ে সল্টলেকে ডেকে পাঠায় জালিয়াতদের। করুণাময়ীর কাছে এসে টাকা নেওয়ার সময়ে সেই ফাঁদে ধরা পড়ে দুই প্রতারক। ওই যুবকেরা অভিযুক্ত দু’জনকে সল্টলেক পূর্ব থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ দিকে, থানায় যাওয়ার পরেও হতবাক পুলিশ। কেননা তখনও অভিযুক্তদের মোবাইলে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীর ফোন আসতে থাকে। তারা এমন অনেক লোকজনকেই প্রতারিত করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। তবে এই দু’জনের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, দেখছে পুলিশ।
এ দিকে, দ্বিতীয় ঘটনা প্রসঙ্গে সল্টলেকের গোয়েন্দা প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, চলতি মাসে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থেকে অনিল রাজভড় ও শম্ভুকুমার তাঁতিকে ধরে। এই জালিয়াতির পিছনেও কোনও চক্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সল্টলেকের বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী দেবপ্রিয় মিশ্র সম্প্রতি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য তাঁর পরিচয়পত্র, পুরনো ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জমা করেন। ওই ব্যাঙ্কের তরফে অনিলই গ্রাহকের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। এর পরে অনিল জগদ্দলে তার বন্ধু শম্ভুর সাহায্যে জালিয়াতির পরিকল্পনা করে। প্রথমে তারা ওই পরিচিয় পত্রে দেবপ্রিয়বাবুর ছবি বদল করে। তার পরে সেটি ব্যবহার করে নতুন একটি সিম কার্ড নেয়। দেবপ্রিয়বাবুর পুরনো ক্রেডিট কার্ডের সব তথ্যই ধৃতদের কাছে ছিল।
তা ব্যবহার করে মাত্র দু’ঘণ্টায় অনলাইনে প্রায় ১৬ হাজার টাকার মোবাইল রিচার্জ ও শপিং করে ধৃতেরা। সেই দু’ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহার করতে পারেননি দেবপ্রিয়বাবু। পরে নতুন সিম কার্ড নিলে তিনি এসএমএসে জানতে পারেন, তাঁর ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া ১৬ হাজার টাকা। এর পরে তিনি তাঁর ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy