সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে সল্টলেকের ইস্টানর্র্ ড্রেনেজ ক্যানালে। সল্টলেক এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার প্রয়োজনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই খালের নাব্যতা কমে গিয়েছিল। দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় খালের জল গতিহীন হয়ে পড়ে। এর ফলে ওই জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় মহলে। বিষয়টি সরকারের নজরেও আনা হয়। মঙ্গলবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “খুব শীঘ্রই ওই খালটি সংস্কার করবে নগরোন্নয়ন দফতর।”
ওই খালের ধারেই সৌন্দর্যায়নের কাজ করেছে নগরোন্নয়ন দফতর। তা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে দর্শনীয় হলেও, খালের জলের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। সেচ দফতর জানিয়ে দেয়, ওই খালের দায়িত্ব তাঁদের নয়। সেচ দফতরের এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার অবশ্য স্বীকার করেন, ইস্টার্ন ড্রেনেজ ক্যানালের নাব্যতা কম থাকায় সমস্যা হচ্ছিল।
সল্টলেক এবং উত্তর ও পূর্ব কলকাতার কিছু এলাকাকে বৃত্তের মতো ঘিরে রেখেছে যে তিনটি খাল, এটি তার অন্যতম। বাকি দু’টি হল বেলেঘাটা সার্কুলার ক্যানাল ও কেষ্টপুর খাল। ওই দু’টি খালের মাঝে প্রবাহিত ইস্টার্ন ড্রেনেজ ক্যানাল। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ দিন আরও জানান, বাম আমলে ওই খালটি খোঁড়া হয়েছিল। তার পরেও ওই খালের জলে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় ফের সেটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বার সঠিক ভাবে কাজটি করার জন্য নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
নগরোন্নয়ন দফতরের এক অফিসার জানান, ওই খালের দু’ধারে যে দু’টি খাল রয়েছে সেগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কাজ করা হবে। ওই খালের জলে গতি না থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। জল যাতে স্বাভাবিক ভাবে প্রবাহিত হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে।
নগরোন্নয়ন দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, দীর্ঘকাল পরে বেলেঘাটা সার্কুলার ক্যানাল সংস্কার করা হয়েছে। ওই কাজ প্রায় শেষের পথে। কেষ্টপুর খালেও দ্রুত গতিতে সংস্কারের কাজ চলছে। এ বার ইস্টার্ন ড্রেনেজ ক্যানালের সংস্কার শুরু হলেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। ওই তিন খালের সংস্কার হলে নিকাশির ব্যবস্থা পুরো বদলে যাবে বলে মনে করেন পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy