নতুন ঘাটে বিসর্জনের মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।
যানজট পেরতে হল না। বিসর্জনের লাইনে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়াতে হল না। বরং বিসর্জনের আগে ঘাটের ধারে জমিয়ে হল ধুনুচি নাচ। উপভোগ করলেন অনেক দর্শক। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ভাবে প্রতিমা বিসর্জন দিলেন নিউ টাউন-রাজারহাট ও উল্টোডাঙার বেশ কিছু পুজো কমিটি।
এ ভাবে বিসর্জন দিয়ে খুশি পুজো কমিটির সদস্যরা। তাঁরা জানালেন, উপাসনা ঘাটে কোনও ঝঞ্ঝাট ছাড়াই বিসর্জনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একই ভাবে ভিআইপি রোডের গোলাঘাটার কাছে দেবীঘাটেও এ বার প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। জলদূষণ রোধের নিয়ম মেনে দুই ঘাটেই বিসর্জনের পরে কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলা হয়েছে। হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, “উপাসনা ঘাট দূষণমুক্ত রাখতে আমরা নজর রেখেছি। ঘাট পরিষ্কার করতে পর্যাপ্ত কর্মীও ছিল।” অন্য দিকে, গোলাঘাটার দেবী ঘাটের প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে এলাকার বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, “প্রতিমা জলে ফেলার কিছু ক্ষণের মধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে। ঘাটের ধারে বসার জায়গা থেকে অনেকেই বিসর্জন উপভোগ করেছেন।”
হিডকো সূত্রে খবর, উপাসনা ঘাটে নিউ টাউন ছাড়াও সল্টলেক, কালিন্দী, বাগুইআটি ও রাজারহাট পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। হিডকোর আধিকারিকরা জানান, এক সঙ্গে তিনটে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা আছে এখানে। ফলে বিসর্জনে বেশি সময় লাগেনি। দেবাশিসবাবু বলেন, “বিসর্জন কেমন হচ্ছে দেখতে হিডকোর আধিকারিকদের জন্য স্টেজ তৈরি হয়েছিল। বিসর্জন দেখতে সেই স্টেজেও অনেক উৎসাহী মানুষ উঠে পড়েন। পরের বছর স্টেজটি আরও একটু দূরে করার পরিকল্পনা হয়েছে।”
অন্য দিকে, দেবীঘাটের ধারে বসার ব্যবস্থা থাকায় সেখানে বসে অনেক দর্শক বিসর্জন দেখেছেন। এক দর্শক অনিমেষ পাল বলেন, “নয়ানজুলিতে প্রদীপ ভাসানোয় পরিবেশটা অন্যরকম হয়ে উঠেছিল।” সুজিতবাবু জানিয়েছেন, লেকটাউন, দমদম পার্ক, বাগুইআটি ও উল্টোডাঙার কয়েকটি প্রতিমারও বিসর্জন হয়েছে। গত বছরের মতো বিসর্জন ঘাটে গাড়ি রাখার সমস্যা এ বার হয়নি বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।
বিসর্জন দিতে আসা পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, দেবীঘাট ও উপাসনাঘাটে বিসর্জনের সুবিধা হল কলকাতার প্রধান রাস্তা দিয়ে বিসর্জন দিতে যেতে হয় না। ফলে সময় বাঁচে। লেকটাউনের এক প্রখ্যাত পুজো কমিটির সদস্য জানান, গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন দিতে গিয়ে প্রতি বছরই দেখা যেত কাঁকুড়গাছি, মানিকতলা এলাকায় যানজটে বহু ক্ষণ মানুষ আটকে রয়েছেন। তখন খুবই খারাপ লাগত। এ বার সাধারণ মানুষের কোনও রকম অসুবিধা না করেই নির্বিঘ্নে বিসর্জন দিতে পারায় খুব ভাল লাগছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy