লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখতে নতুন সংযোজিত এলাকার উপরেই বেশি নজর দিতে চাইছেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। সংযোজিত এলাকার বাড়তি দায়িত্ব পাওয়ার পরে এ বারই সেখানে প্রথম ভোট হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট থানার কর্মী ছাড়া কলকাতা পুলিশের অন্য কর্মীদের অনেকেই এখনও ওই এলাকার অলিগলি ভাল ভাবে চিনে উঠতে পারেননি। সে কারণেই ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ সব থানা ও ট্রাফিক গার্ডের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। লালবাজার সূত্রের খবর, সংযোজিত এলাকার রাস্তাঘাট, অলিগলি চিনে নিতে বৃহস্পতিবার থেকেই ভ্রাম্যমাণ বাহিনীকে মাঠে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। লালবাজারের এক কর্তা জানান, কোনও বুথে গোলমাল হলে ভ্রাম্যমাণ বাহিনীকে আগে পৌঁছতে হবে। পুলিশ কমিশনার চাইছেন, বুথে বা বুথের বাইরে গোলমাল হলে বা কোনও অভিযোগ পেলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানে ভ্রাম্যমাণ বাহিনী যেন পৌঁছে যায়। অভিযোগ বা গোলমাল না হলেও প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের কাউকে বুথ পরিদর্শন করে আসতে হবে ভোটের দিন। একই সঙ্গে কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন, ভোটের দিন কন্ট্রোল রুম বা প্রতিটি ডিভিশনের ওয়্যারলেস যেন নিমেষে সংযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
লালবাজার সূত্রের খবর, সংযোজিত এলাকার থানাগুলি আগে রাজ্য পুলিশের অধীনে ছিল। সেই সব থানা এলাকায় আগে যে সব নির্বাচন হয়েছে, তাতে কোন কোন বুথ স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর ছিল তার কোনও নির্দিষ্ট নথি কলকাতা পুলিশের হাতে নেই। সংযোজিত এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে তিন বছর আগে। এই তিন বছরে কোনও ভোট হয়নি। সে কারণেই সংযোজিত এলাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন লালবাজারের কর্তারা।
এক পুলিশকর্তা জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এ বার কলকাতা পুলিশের এলাকা দ্বিগুণ হয়েছে। কলকাতা পুলিশের থানার সংখ্যা এখন ৭২। দু’টি থানা পিছু এক জন ডেপুটি কমিশনার নিযুক্ত থাকছেন ১২ মে, লোকসভা ভোটের দিন। কলকাতা পুলিশ এলাকায় এ বার বুথের সংখ্যা ৪,৬৪৪। ভোটকেন্দ্র ১,৪৯২। বুথগুলিকে স্বাভাবিক, স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর— এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মোট বুথের ৬০ শতাংশকে স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, সব বুথে এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। একাধিক বুথ রয়েছে এমন ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র বলেন, “৫০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছতে শুরু করেছে। আজ, শুক্রবার থেকে তারা এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy