Advertisement
১৭ মে ২০২৪

সমবায়ে উৎসাহ দিতে রত্ন পুরস্কার

শিক্ষা রত্ন, বিডিও রত্ন এবং কৃষক রত্নের পরে এ বার সমবায় রত্ন। প্রথম তিনটি ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া হয় ব্যক্তিবিশেষকে। যোগ্যতার নিরিখে এ বার প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করছে রাজ্য সরকার। আগামী সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সমবায় মেলা।

দেবজিৎ ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:১৫
Share: Save:

শিক্ষা রত্ন, বিডিও রত্ন এবং কৃষক রত্নের পরে এ বার সমবায় রত্ন।

প্রথম তিনটি ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া হয় ব্যক্তিবিশেষকে। যোগ্যতার নিরিখে এ বার প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করছে রাজ্য সরকার। আগামী সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সমবায় মেলা। সেখানেই ‘রত্নদের’ হাতে ট্রফি ও শংসাপত্র তুলে দেবেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। এ রাজ্যে সমবায় আছে ২৭ হাজার। তার মধ্যে জেলা ও রাজ্য স্তরে যে-সব সমবায়ের কাজকর্ম ‘জুরি বোর্ড’-এর সব চেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে, তারাই ‘রত্ন’ পুরস্কার পাবে। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হবে ‘সমবায়ভূষণ’ আর ‘সমবায়শ্রী’ উপাধিতে ভূষিত হবে তৃতীয় স্থানাধিকারী। সব মিলিয়ে আড়াইশো সমবায়কে সে-দিন পুরস্কৃত করা হবে। অরূপবাবু বলেন, ‘‘যারা ভাল কাজ করেছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকিরাও যাতে ভাল কাজ করে, সেই উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পুরস্কারের ভাবনা।’’

শুধু পুরস্কার নয়, সমবায় মেলাও তৃণমূল আমলে এই প্রথম। দফতরের খবর, ২০০১ সালে তৎকালীন বাম সরকার ছোট আকারে সমবায় মেলা করেছিল। এ-পর্যন্ত সেটাই প্রথম এবং সেই শেষ। ১৬ বছর পরে এ বার বড় চেহারায় মেলা ফিরিয়ে আনছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মেলায় সব দফতরকে স্টল দিতে হবে। ‘‘নোট বাতিলের জেরে সমবায়গুলি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কী ভাবে তারা সেই পরিস্থিতি অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে, সমবায় মেলা কার্যত তারই প্রদর্শন,’’ বলছেন এক কর্তা।

রত্ন পুরস্কার চূড়ান্ত করা হয়েছে ২০টি মাপকাঠির ভিত্তিতে। গত বছর কোন সমবায় কত টাকা ঋণ দিয়েছে, কত টাকা আদায় করেছে, কত টাকা লাভ করেছে, পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ আছে কি না ইত্যাদি। এক কর্তার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর খাদ্যসাথী প্রকল্পে ধান কেনে খাদ্য দফতর। সেই ধান জোগাড় করে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ছোট-বড় বিভিন্ন সমবায়।
তাই যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ধান জোগাড়ের উপরে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

সেই সঙ্গে যোগ্যতার মাপকাঠিতে সমবায়গুলি নিজেরা নিজেদের কত নম্বর দিচ্ছে, তা জানতে বছরের গোড়ায় তাদের কাছে ফর্ম পাঠিয়েছিল দফতর। তার মূল্যায়ন করেছেন সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অব কো-অপারেটিভ সোসাইটি। তাঁদের দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছে দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Krishak ratna Award
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE