Advertisement
E-Paper

যদি সন্তান না দেখে

পরিবার পাশে না থাকলে বৃদ্ধরা কী করবেন? পরামর্শ দিচ্ছেন আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়।ছেলে খেতে দেয় না। ছেলের বড় চাকরি। বাবা-মা সঙ্গতিহীন। ছেলের জন্য ভাল স্কুল, টিউশন, উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাতে গিয়ে জমিয়ে ওঠা যায়নি। এখন বাবার হার্টের অসুখ, ছেলে ওষুধের পয়সা দিতে গড়িমসি করে। মায়ের ছানি কাটাতে বললে বলে, ‘তুমি আর দুনিয়া দেখে কী করবে?’

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৩

ছেলে খেতে দেয় না। ছেলের বড় চাকরি। বাবা-মা সঙ্গতিহীন। ছেলের জন্য ভাল স্কুল, টিউশন, উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাতে গিয়ে জমিয়ে ওঠা যায়নি। এখন বাবার হার্টের অসুখ, ছেলে ওষুধের পয়সা দিতে গড়িমসি করে। মায়ের ছানি কাটাতে বললে বলে, ‘তুমি আর দুনিয়া দেখে কী করবে?’

কার দোরে যাবেন ওঁরা?

আদালতের দরজা খোলাই আছে। ২০০৭-এ একটি আইন হয়েছে, যার বলে মহকুমাশাসক এই নালিশ শুনতে পারেন, বিচার করে রায় দিতে পারেন। মামলা লড়ার কাঠখড় না পুড়িয়েও সুরাহা পেতে পারেন বয়স্ক বাবা-মা।

এই আইন বলছে: সাবালক ও রোজগেরে সন্তানের কর্তব্য অসহায় বাবা-মায়ের ভরণপোষণ করা অর্থাৎ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ওষুধ, চিকিৎসার খরচ জোগানো। শুধু ছেলেরা নন, বিবাহিত কর্মরত মেয়েও এ গোত্রে পড়েন। যিনি সন্তানতুল্য, অর্থাৎ নিঃসন্তান ব্যক্তির অবর্তমানে যিনি সম্পত্তি পাবেন, তাঁর উপরেও একই দায়িত্ব বর্তায়।

কোন বাবা-মা ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন?

যে কেউ, যিনি নিজের আয় থেকে স্বাভাবিক জীবনধারণ করতে পারেন না এবং জীবনধারণের জন্য যাঁকে সন্তানের উপরে নির্ভর করতে হয়। জৈবিক বাবা-মা হতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই। পালক পিতামাতা (যাঁরা সন্তান দত্তক নিয়েছিলেন) বা সৎবাবা-সৎমায়েরও একই অধিকার। ‘সিনিয়র সিটিজেন’ না হলেও কিছু যায়-আসে না।

রায় পছন্দ না হলে?

বাবা-মা ও সন্তান, উভয় পক্ষের জন্যই আদালতের দরজা খোলা।
সন্তান যদি মারধর, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, জোর করে সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার মতো অপরাধ করে, তা হলেও থানা-পুলিশ করে কোর্টে যাওয়া ছাড়়া অন্য কোনও গতি নেই।

tamal mukhopadhyay aged persons helpless aged persons lawyers suggestion ghorebaire
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy