বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করে বহু মানুষকে আহত করার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছে বামেরা। বামেদের দাবি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে অপসারণ করতে হবে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে শুক্রবারই কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার প্রতিবাদে ৫ অক্টোবর, সোমবার ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত মিছিল করা হবে বলে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানান। তাঁর অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে সিটুর রাজ্য সম্পাদক দীপক দাশগুপ্ত-সহ বহু মানুষের মাথা ফেটেছে। সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা ২৭৩। তার মধ্যে কাশীপুর-বেলগাছিয়ার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য স্কুল শিক্ষক বিপ্লব তিলক এবং বেলেঘাটার বাসিন্দা বিশ্বনাথ কুন্ডুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। দু’জনের মাথাতেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। দু’জনেই কোমায় আছেন। পুলিশ যে ভাবে বিনা প্ররোচনায় মাটিতে ফেলে লাঠি মেরেছে, লাথি মেরেছে এবং মহিলা বাম কর্মীদের উপরে পুরুষ পুলিশ কর্মীরা লাঠিচার্জ করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট।
গ্রেফতারির মাপকাঠি অপরাধ নয় ঝান্ডার রং, বলছে পুলিশেরই একাংশ
অন্য দিকে, লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করে লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছেন পুলিশ কর্তারা। এ দিন যুগ্ম নগরপাল (ট্রাফিক) সুপ্রতীম সরকার। যুগ্ম নগরপাল (সদর) রাজীব মিশ্র এবং ডিসি (সেন্ট্রাল) বাস্তব বৈদ্য তিন জনেই বলেন, পুলিশের লাঠিতে কেউ আহত হননি। পুলিশের তাড়া থেকে বাঁচতে পড়ে গিয়ে কেউ আহত হতে পারেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, বামেদের বিক্ষোভে পাঁচজন মহিলা-সহ ২০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। বামেদের মিছিলে বহিরাগতরা ছিল বলেও অভিযোগ করেন পুলিশ কর্তারা। নিরঞ্জনবাবু অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘সবই টিভি-তে দেখা গিয়েছে। পুলিশ কর্তারা যে মিথ্যা বলছেন, তা স্পষ্ট। পুলিশ ভাবেনি, কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের ডাকে ২০-২৫ হাজার লোক হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy