Advertisement
০৩ মে ২০২৪

letter from south bengal

নলহাটি স্টেশন চত্বরে দরকার একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার। বীরভূম জেলার লুপ লাইনে নলহাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন। ব্যস্ত শিল্পকেন্দ্র। পাথর শিল্পসমৃদ্ধ। ৫১ পীঠের এক পীঠ মা নলাটেশ্বরী।

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৫
Share: Save:

ফ্লাইওভার জরুরি

নলহাটি স্টেশন চত্বরে দরকার একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার। বীরভূম জেলার লুপ লাইনে নলহাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন। ব্যস্ত শিল্পকেন্দ্র। পাথর শিল্পসমৃদ্ধ। ৫১ পীঠের এক পীঠ মা নলাটেশ্বরী। পুণ্যার্থীদের ভিড়ে সদা চঞ্চল। ব্যবসা কেন্দ্র হওয়ার ফলে উত্তরবঙ্গ, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়খণ্ড ও কলকাতার সঙ্গে ট্রেন ও বাসের যোগাযোগও নিবিড় রয়েছে। এই শহরের প্রথম ও প্রধান সমস্যা স্টেশন ও বাজার চত্বরে লেভেল ক্রশিংয়ের ভয়াবহ যানজট। নিত্য দিনের যানজটে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, রোগী, ছাত্রছাত্রী ও ব্যবসাদার সকলেই। এই সমস্যা বহু দিনের। এই যানজট সমস্যা সমাধানে বহু প্রতিশ্রুতি এসেছে রাজীব গাঁধীর আমল থেকে কিন্তু হয়নি কিছুই। যানজটের এই ভয়াবহতা দেখে তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় সে সময়ের রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের কাছে একটি চিঠি দেন পরিকল্পপনা-সহ। চিঠির তারিখ ২৯-১১-০৭। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় নলহাটি পুরসভার আবেদন ক্রমে বিষয়টি আবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। পত্র নং— ২২৯৩/ই এ এম/২০০৮। তারিখ ২৮-০২-০৮। নলহাটি জংশন স্টেশনের ২৬ ও ২৭ নং গেটের মাঝখান দিয়ে ভূগর্ভস্থ রাস্তা বা ফ্লাইওভারের জন্য আবেদন করা হয়। সাধারণ মানুষ মনে করেন, যানজটের সমস্যা একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার হলে সমাধান হতে পারে। তবে আন্ডারপাশ তৈরিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখনও কোনও পরিকল্পনারই বাস্তব রূপ পাওয়ার আভাস মেলেনি। ব্যস্ত শহরে যানজট সমস্যা সমাধানের উপায় কি কোনও দিনই বেরোবে না?

মনোজ ঘোষ, নলহাটি, বীরভূম।

দাবি রাস্তা সংস্কারের

মুর্শিদাবাদ শহর একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার সুবাদে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে আসেন। মুর্শিদাবাদের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি হল নবাব আলিবর্দি খান ও সিরাজের সমাধি, ভবানীশ্বর ও রাজরাজেশ্বর দেবীর মন্দির, ভট্টমাটি শিবমন্দির, ভামেশ্বর শিবমন্দির। মুর্শিদাবাদ শহরের দক্ষিণ দিক বরাবর পাড়তলা মোড় থেকে খোসবাগ নিয়ালিশ পাড়া হয়ে উত্তরপাড়া মোড় পর্যন্ত পিচ রাস্তাটি এতটাই খারাপ যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই রাস্তাই ৩৪ নং জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিশেছে। অথচ এই রাস্তায় চলাচল অত্যন্ত বিপজ্জনক। রাস্তা খারাপের ফলে রোগী সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছতে না পেরে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। এ ছাড়া আজিমগঞ্জ জেলার একটি বৃহত্তম পাইকারি বাজার হওয়ার ফলে রাস্তা খারাপের জন্য ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষিজীবীরাও চরম আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রাস্তাটির ২০-২৫ ফুট অন্তর গর্ত ও খানাখন্দে ভরা। বর্ষাকালে অবস্থা হয় আরও ভয়াবহ। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় জলও জমে যায়। এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বহু বার আবেদন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। পর্যটকরাও এফন এই রাস্তাটি ব্যবহার করছেন না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পিচ রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কার করা হোক।

স্বপনকুমার ভট্টাচার্য, মুর্শিদাবাদ।

দূষণ বাড়ছে

মগরা ও তার আশপাশের এলাকায় দূষণ বেড়েই চলেছে। শব্দ দূষণ, আলোক দূষণ, জলদূষণ, মাটি দূষণ সব রকম দুষণই বেড়ে চলেছে মগরা এলাকায়। মগরার জি টি রোডের দু’পাশে গজিয়ে ওঠা গ্যারেজ, হোটেল, কারখানা, লেদ মেশিনের কারখানা প্রভৃতির মাধ্যমেই দূষণ ঘটছে। এই সব কারখানায় প্রায় সব রকম কাজই হয়। ফলে শব্দদূষণ লেগে থাকে। আড়াল ছাড়া ওয়েল্ডিং করা হয় বলে পথচারীদেরও খুবই অসুবিধা হয়। আলোর ঝলকানিতে চোখেরও ক্ষতি হয়। পিচ বোর্ড কারখানার কাঁচামাল রেখে দেওয়া হয় রস্তার ধারে। তার থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। জমি ভরাট করতে ব্যবহার হয় প্ল্যাস্টিক, বস্তার টুকরো প্রভৃতি। দোকান হচ্ছে নালা বুজিয়ে। রাস্তার পাশের গাছ ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে গাছ লাগাবার উদ্যোও নেই। হোটেলগুলিতে গাড়ি লাগানোর ফলে মাঝেমধ্যেই যানজটও হচ্ছে। এর ফলে সব মিলিয়ে মগরা এলাকার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।

উত্তম মুখোপাধ্যায়, হুগলি।

সাবওয়ে চাই

তারকেশ্বর রেলস্টেশনের এক দিকে বাসস্ট্যান্ড ও অন্য দিকে মন্দির। যাত্রীরা যারা বাসে আসেন তাদের স্টেশন অতিক্রম করে মন্দিরে যেতে হয়। নতুবা অনেক ঘুরে যেতে হয়। আবার যারা মন্দিরের দিক থেকে বাস ধরার জন্য আসেন তাদেরকেও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। স্টেশনের দুই পাশে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীদেরও যাতায়াতের জন্য স্টেশনই ব্যবহার করতে হয়। হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য স্টেশনে সাবওয়ে নির্মাণের অনুরোধ জানাই রেল কর্তৃপক্ষকে। আশা করি কর্তৃপক্ষ সাবওয়ে নির্মাণে যত্নবান হবেন।

হরদাস চক্রবর্তী, হুগলি।

ট্রেনের দাবি

পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল এলাকা, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার সর্বস্তরের মানুষের দাবি খড়্গপুর থেকে দুমকা পর্যন্ত একটি সুপার ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হোক। সঙ্গে ওড়িশার বালেশ্বর, বারিপদা, ভদ্রকের মানুষকে ঝাড়খণ্ডের মধ্যে জামতাড়া, মধুপুর, দেওঘরে যাতায়াত করতে হয়। এই অঞ্চলের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও সাঁওতাল পরগনার যোগাযোগ হলে সুবিধা হয়। ট্রেনের জন্য রেলকে অনুরোধ জানাই।

হারাধন কারক, মেদিনীপুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

south bengal letter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE