Advertisement
০৬ মে ২০২৪

দক্ষিণের চিঠি

উন্নততর পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম জেলার রামপুরহাটে সুপার হাসপাতাল করেছেন। মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার পথে। এখানে অসংখ্য রোগী ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন আসেন।

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৬ ০৮:১৩
Share: Save:

হাসপাতালের উল্টো দিকে চোলাই ঠেক

উন্নততর পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম জেলার রামপুরহাটে সুপার হাসপাতাল করেছেন। মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার পথে। এখানে অসংখ্য রোগী ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন আসেন। তবে দুঃখের কথা, এহেন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেমন চলছে দালালরাজ, তেমনই রমরমিয়ে চলছে চোলাই-এর কারবার। হালপাতালের দ্বিতীয় গেটের বিপরীতে সিংহ ট্র্যাভেল্‌সের পাশের গলি দিয়ে একটু এগিয়ে গেলেই পাওয়া যায় দু’টি চোলাইয়ের ঠেক। প্রতিবাদ করলে শাসানি তো আছেই। আবার উল্টে শুনিয়ে দেয় এই চোলাই ঠেক ‘লাইসেন্সপ্রাপ্ত’। সত্যিই কি এরা লাইসেন্সপ্রাপ্ত? যদিওবা থাকে তাহলেও এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দিনের পর দিন এদের এই কারবার কতটা যুক্তিসঙ্গত বা গ্রহণযোগ্য? দেখা গিয়েছে, রোগীদের লোকজন ওদের খপ্পরে পড়ে ওষুধ কেনার পয়সা ওই ঠেকে ঢেলে আসেন। ভাবলে শিউরে উঠতে হয় অনেকে নেশার ঘোরে নিজের রক্ত বিক্রি করার পর দালালদের কমিশন দেয়। তার পরে বাকি টাকা দিয়ে ওই ঠেকে গিয়ে কড়া নাড়ে। সরকারের কাছে প্রত্যাশা অনেক। তাই এই ব্যাপারে প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করি।

(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রামপুরহাটের বাসিন্দা)

সড়ক সংস্কার করা হোক

ভাঙা পথেই যাতায়াত। রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া ঢোকার মুখে দামোদরের উপরে মেজিয়া সেতু। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ।

হুগলির হরিপাল। ২৬ নম্বর রুটের হাজরা মোড় থেকে ধনেখালি থানার পাড়াম্বুয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে একটি রাস্তা তৈরি হয়েছিল কয়েক বছর আগে। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একে খানাখন্দে ভরা, তার ওপর মাঝে মধ্যেই বড় বড় গর্ত। রাতে তো দূরের কথা, দিনের বেলায়ও পথ চলা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বৈদ্যপুর থেকে

মির্জাপুর এবং পাড়াম্বুয়া হাই স্কুলের পিচের অস্তিত্ব উধাও। এই রাস্তার পাশে কয়েকটি উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে আমার আবেদন, রাস্তাটি সংস্কারে দ্রুত হাত লাগান যাতে জনসাধারণের সুবিধা হয়।

বিদ্যুৎ ভৌমিক। তারকেশ্বর, হুগলি

বিপাকে গো-পালকরা

মুর্শিদাবাদের অন্যতম জীবিকা গো-পালন। মানুষ গো-পালন করে জীবিকা নির্ভর করছে। তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও বহু মানুষ। দুধ কেনার জন্য জেলায় জেলায় ভাগীরথী দুগ্ধ উন্নয়ন সমিতি এত দিন বিশেষ ভূমিকা পালন করে এসেছে। এটা একটি লাভজনক সংস্থা হিসেবে পরিচিতি আছে। কিন্তু বছর খানেক ধরে দেখা যাচ্ছে, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সংস্থাটি দুধ কেনা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে গো-পালকেরা পড়েছে আতান্তরে। দুধ বিক্রি করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। দুধ কেনার লোক নেই। দামও পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ গো-খাদ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। কোনও এক রাজনৈতিক কারণে না কি সংস্থাটি পঙ্গু হতে বসেছে। তার ফল ভুগছে হাজার হাজার গরিব মানুষ। রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ, গরিব মানুষের স্বার্থে ভাগীরথী দুগ্ধ উন্নয়ন সমিতি যাতে স্বমহিমায় দাঁড়াতে পারে সে ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগী হোক।

অশোক পাল। ফুলবাগান, মুর্শিদাবাদ

অবহেলিত ঘোষপুর

হাওড়ার আমতা-১ পঞ্চায়েত সমিতির ভাণ্ডারগাছা পঞ্চায়েতের অধীন ঘোষপুর গ্রাম। এই গ্রামের রাস্তাগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। মূল রাস্তা থেকে ২ কিলোমিটার ভিতরে এই গ্রামটি। বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে রাস্তাগুলি পুকুরে নেমে গিয়েছে। বর্ধিষ্ণু এই গ্রামে শিক্ষার সঙ্গে চাষাবাদ, ছোট ছোট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ গ্রামবাসী। গ্রামের স্কুলে বা পোস্টঅফিসে পৌঁছতে ছাত্রছাত্রী ও অন্য পথচারীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। সাইকেলে মূল রাস্তায় পৌঁছতেও অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই বর্ষার আগে খানাখন্দে ভরা এই রাস্তাগুলি সংস্কার খুবই জরুরি। প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীদের

এটাই একমাত্র আবেদন।

অমল চট্টোপাধ্যায়।

ঘোষপুর, আমতা

বৈদ্যুতিক চুল্লি চাই

বাঁকুড়া শহরের পলাশস্থলা অঞ্চলে একটি কালীমন্দির আছে। প্রত্যেক দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ এখানে আসে। মন্দির সংলগ্ন একটি শ্মশান আছে। বাঁকুড়া শহর ছাড়াও আশপাশের মানুষেরা এই শ্মশানে শবদাহ করে। এই শ্মশানে কাঠেই শবদাহ হয়। এতে পরিবেশ দূষণ হয়। বর্ষায় শবদাহ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি, এখানে অতি দ্রুত একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হোক।

বীরেন সরকার, অরবিন্দ নগর, বাঁকুড়া

ফাঁপড়ে গ্রাহকেরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনের উত্তর পশ্চিমের পাঁচিল। তার পাশেই যে রাস্তা তার দু’পাশ দিয়ে বিএসএনএলের টেলিফোন ও ব্রডব্যান্ড-এর সংযোগবাহী তার গিয়েছে। জলের পাইপ লাইন বসানোর তোড়জোড়ে টেলিফোনের তারগুলি কেটেকুটে তছনছ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ব্রডব্যান্ড ও ল্যান্ডলাইন গ্রাহকেরা। মাস খানেক আগে একই ভাবে সমস্যা হয়েছিল। বিএসএনএলের সঙ্গে পূর্ত দফতরের কোনও যোগাযোগ নেই। গত ৮ জানুয়ারি থেকে এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সংস্থায় অভিযোগ জানালে বলা হচ্ছে, ‘চুপ থাকুন, মেলা চলছে। শেষ হোক।’

অনন্ত কুমার ভট্টাচার্য। মাথুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

South Bengal letter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE