Advertisement
E-Paper

দক্ষিণের চিঠি

বাঁকুড়া শহরের অরবিন্দনগরে বহু মানুষ বাস করলেও নানা সমস্যায় পদে পদে বিপদে পড়ছে মানুষ। এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যা রাস্তার। বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ থেকে যে রাস্তা অরবিন্দনগর বাস স্ট্যান্ডে এসে মিশেছে, তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল।

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৬ ০১:৫০
পাখি কেনাবেচা নিষিদ্ধ হলেও দেদার বিকোচ্ছে খাঁচা-বন্দি টিয়া, কোকিল। রথযাত্রা উপলক্ষে বসা উদয়নারায়ণপুর হাটে দীপঙ্কর মান্নার ছবি।

পাখি কেনাবেচা নিষিদ্ধ হলেও দেদার বিকোচ্ছে খাঁচা-বন্দি টিয়া, কোকিল। রথযাত্রা উপলক্ষে বসা উদয়নারায়ণপুর হাটে দীপঙ্কর মান্নার ছবি।

অবহেলিত অরবিন্দনগর

বাঁকুড়া শহরের অরবিন্দনগরে বহু মানুষ বাস করলেও নানা সমস্যায় পদে পদে বিপদে পড়ছে মানুষ। এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যা রাস্তার। বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ থেকে যে রাস্তা অরবিন্দনগর বাস স্ট্যান্ডে এসে মিশেছে, তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। বহু সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রী ও নিত্যযাত্রী এই রাস্তাটি ব্যবহার করে এবং এই রাস্তার উপরেই দুটি বড় মাপের স্কুল, যুব আবাস, সরকারি অফিস ও একটি খুব বড় পার্ক আছে। অথচ রাস্তাটির পিচ উঠে গেছে, মাঝে মাঝেই বড় বড় গর্ত। তার উপর একদা জলের পাইপ বসানোর জন্য খোঁড়ার কারণে বহু জায়গাতেই মাটি পড়ে আছে। এ ছাড়া অরবিন্দনগর পাঁচ মাথার মোড়ের ট্রাফিক সিগন্যালগুলো কাজ করে না। সব সময় ট্রাফিক পুলিশও থাকে না। ফলে যানজট হয়। রোজই দুর্ভোগে পড়তে হয়। অরবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতে যাওয়ারই বাস পাওয়া যায়। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে শৌচাগার নেই বলে অসুবিধায় পড়তে হয়। কিছু দিন আগে এখানে ‘রাগিণী’ নামে একটি আবাসের কাজ শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ দিন অসম্পূর্ণ পড়ে। একটি লাইব্রেরি নেই এখানে। জেলা গ্রন্থাগার ২ কিমি দূরে। লাইব্রেরি হলে খুবই ভাল হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুরসভাকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

বীরেন সরকার অরবিন্দনগর, বাঁকুড়া

সাফাই হয় না নিয়মিত। ইপসা সেন

সব আছে বাস নেই

চোদ্দো ফুট চওড়া পিচের রাস্তা আছে, যথেষ্ট যাত্রী আছে, চারটে বাসস্ট্যান্ডও আছে—নেই কোনও বাস! যদিও তিন-তিনটি রুটের বাস চলত আগে এ রাস্তায়। হাওড়ার ধুলাগড়িতে ৬৩ নম্বর বাসস্ট্যান্ড, ২৪ নম্বর বাগানগোড়া বাসস্ট্যান্ড ও ৬৯ নম্বর একব্বরপুর বাসস্ট্যান্ড ফাঁকাই পড়ে থাকে। এর মধ্যে ৬৩ নম্বরের রুটটি হল ধুলাগড়ি থেকে হাওড়া ভায়া ডোমজুড়। ২৪ নম্বরের রুটটি হল বাগানগোড়া থেকে হাওড়া স্টেশন ভায়া চাঁপাতলা এবং ৬৯ নম্বর রুটটি হল একব্বরপুর থেকে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড ভায়া সাঁকরাইল। দশ বছরে তিনটি রুটের সব গাড়িই অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ১৩ নম্বর রুটে মিনি বাস জুজারসাহা থেকে হাওড়া ভায়া আন্দুল চলাচল করত। তিন বছর ধরে সেটিও ৪ কিমি পিছিয়ে, ফটিকগাছি থেকে রাজাবাজার চলাচল করায় জুজারসাহা স্ট্যান্ডেও বাস আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, ১৩ এ রুটের অর্ধেক বাস ফটিকগাছি থেকে এবং অর্ধেক বাস জুজারসাহা থেকে চলাচল করুক। এ দাবি গঙ্গাধরপুর, ধুলাগড়, দেউলপুর, জুজারসাহা, কুলডাঙা, গোণ্ডলপাড়া, বাগানগোড়া, সিদ্ধেশ্বর ও একব্বরপুর অঞ্চলের মানুষের। এলাকায় বহু স্কুল কলেজ, বিএড কলেজ, নানা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। বাস বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলি ধুঁকছে। বাস না চলার কারণ পরিবহণ দফতরের উদাসীনতা, না অটো-ট্রেকার ইউনিয়নের গোপন বোঝাপড়া? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও নবাগত পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে একান্ত অনুরোধ, বন্ধ রুটগুলিতে পুনরায় বাস চালানোর উদ্যোগ গৃহীত হোক।

শ্রীমন্ত পাঁজা। গঙ্গাধরপুর, হাওড়া

বাসে আসন নিয়ে বিতর্ক

আজকাল বেসরকারি বাসে যাত্রী-সাধারণের বসার জায়গা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ এমনকী শেষে হাতাহাতি পর্যন্ত হামেশাই নজরে পড়ে। বাসমালিকরা ছোট বাসেও বেশি সংখ্যক যাত্রী তোলার জন্য বাসের আসনগুলির এমন অবাস্তব আকার, আয়তন বা সাজানোর ব্যবস্থা করেন যে, যাত্রীরা যথাযথ ভাবে সেই আসনে বসতে পারেন না। কখনও বা দুই সারি সিটের মধ্যে বসতে গেলে পা রাখা যায় না। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাবল সিটে এক জন বসার পর অপর জন বসতে পারেন না। বেশি লাভের আশায় বাস-মালিকেরা যাত্রী-সাধারণের কথা নাই ভাবতে পারেন। কিন্তু সরকারি আধিকারিকবৃন্দও কি চোখ বন্ধ করে থাকেন? যত দূর জানি, নির্দিষ্ট সময় অন্তর মালিক পক্ষকে তাঁদের বাসগুলির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করিয়ে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য ওই সব আধিকারিকের দ্বারস্থ হতে হয়। তখন কি দায়িত্বপ্রাপ্তরা বাসগুলির যথাযথ পরিদর্শন না করেই মালিক পক্ষকে শংসাপত্র দিয়ে দেন? তা হলে সেটা ঘটে কীসের মোহে? এই প্রশ্ন শুধু আমার নয়—সর্বসাধারণের! এই অব্যবস্থার নিরসন তথা বাসযাত্রীদের ভোগান্তি দূরের জন্য কর্তৃপক্ষ অন্তত মানবিকতার খাতিরেও সক্রিয় হবেন।

অমরনাথ ঘোষ। মশাট, হুগলি

কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিন

বছর দুই আগে পূর্ব রেলের কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় রেল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু আন্ডারপাস নির্মাণ করেন। এই আন্ডারপাস নির্মাণের সঙ্গেই আগের রেললাইনের উপর দিয়ে যাওয়া রাস্তাগুলি পরিত্যক্ত হয়। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ আন্ডারপাসগুলি নির্মাণে অতি অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। আন্ডারপাস থেকে কিছুটা দূরে উভয় দিকেই রাস্তা ক্রমশ ঢালু হয়েছে। রেললাইনের ঠিক নীচের অংশটুকুই সবচেয়ে নিচু হওয়ায় দু’পাশের ঢালু রাস্তা বেয়ে জল এসে ওখানেই জমা হচ্ছে। বর্ষার শুরুতেই এই জল জমা শুরু হয়ে চলতে থাকছে আশ্বিন মাস পর্যন্ত। দুর্ভোগে পড়ছেন সাইকেল, মোটরসাইকেল বা ট্রাক্টর নিয়ে যাতায়াতকারী মানুষ। রেল কর্তৃপক্ষ যদি ম্যানহোলের ব্যবস্থা রাখতেন, তবে এই সমস্যা সৃষ্টি হত না। অথবা ক্রমশ ঢালু হওয়া রাস্তা ঠিক রেললাইনের নীচে এসে যদি ধনুকের পিঠের মতো আকৃতিবিশিষ্ট হত, তা হলেও এই সমস্যা হত না। ঢালু অংশ দিয়ে আসা জল উঠতে না পেরে দু’পাশে গড়িয়ে যেত। বিষয়টির সমাধানের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ আশা করি এ বার উদ্যোগী হবেন।

প্রদীপনারায়ণ রায়। শক্তিপুর, মুর্শিদাবাদ

আমার শহর

‘দ্বিতীয় কোলকাতা’ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল আমার শহর কাটোয়ার, কিন্তু সে সম্ভাবনা দিন দিন মিলিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এ শহরের উল্লেখযোগ্য সমস্যার সমাধান হয়ে উঠছে না। শহরে ঢোকার বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের ওপর লেভেল ক্রসিং রয়েছে। হাওড়া-কাটোয়া রেললাইন সর্বদা ব্যস্ত থাকায় ক্রসিঙের দু’ধারে যানজটে হাঁসফাঁস করে শহর। এখানে ওভারব্রিজ দরকার। শহরের সংকীর্ণ রাস্তাগুলি চওড়া করা দরকার যাতে সহজে চলাফেরা করা যায়। টোটো ও রিকশার দিকে নজর রাখতে হবে। গঙ্গার ধারে একটি পার্ক, কাছারি রোডে একটি পার্কিং জোন তৈরি করা বিশেষ প্রয়োজন। কাটোয়াকে ঘিরে রয়েছে তিনটি জেলা— বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ। অথচ কাটোয়ার তেমন কোনও উন্নতি চোখে পড়ে না। এই সমস্ত সমস্যার সুরাহা হলে, আশা করি কাটোয়া ধীরে ধীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হয়ে উঠবে।

রাজকুমার রায়চৌধুরী, বর্ধমান

South Bengal Letter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy