ধর্মতলার অনশনমঞ্চে বসে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। — ফাইল চিত্র।
অনশনমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে রাখা একটি বোর্ডে তাঁদের রক্তচাপ-সহ বিভিন্ন শারীরিক অবস্থানের পরিমাপ লিখে রাখা হয়েছে।
অনশনমঞ্চে রাখা সেই বোর্ডটি। —নিজস্ব চিত্র।
বৌবাজার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভের পর চৌকি নিয়ে অনশনমঞ্চে পৌঁছে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখান থেকে আবার পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে লালবাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা যাচ্ছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রায় তিন ঘণ্টা বৌবাজার থানায় বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরে ‘বাজেয়াপ্ত’ করা চৌকি ‘ছাড়িয়ে’ আনলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। চৌকিগুলো নিজেরাই কাঁধে তুলে নেন তাঁরা। তার পর হাঁটা দেন অনশনমঞ্চের দিকে। সঙ্গে পুলিশের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্দোলনকারীরা।
ধর্মতলায় অনশনের তৃতীয় দিনে অশান্তি! বউবাজার থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, অনশনমঞ্চে বসবার জন্য যে চৌকি আনা হয়েছিল, সেগুলো ‘বাজেয়াপ্ত’ করেছে পুলিশ। রাস্তাতেই ওই নিয়ে একপ্রস্ত বাদানুবাদ হয় পুলিশ এবং জুনিয়র ডাক্তারদের। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়াল বউবাজার থানার সামনে। জুনিয়র ডাক্তারেরা স্লোগান দিয়ে থানার মূল গেটের সামনে বসে পড়েন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই জুনিয়র ডাক্তার সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তাঁরা হলেন, অলোক কুমার বর্মা এবং শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলার মঞ্চ থেকেই সে কথা ঘোষণা করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
রাজ্যের সব মেডিক্য়াল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা মঙ্গলবার প্রতীকী অনশন করবেন। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন দেবাশিস হালদার।
ধর্মতলার অনশন মঞ্চে সোমবার বসে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। — নিজস্ব চিত্র।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে দু’টি বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে। একটি ব্যবহার করছেন মহিলা অনশনকারীরা, অন্যটি ব্যবহার করছেন পুরুষ অনশনকারীরা। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের লিখিত অনুমতি মেলেনি। আন্দোলনকারীদের দাবি, রবিবার পুলিশ জানিয়েছিল, গ্রিন জ়োন হওয়ায় সেখানে বায়ো টয়লেট বসানো যাবে না।
রবিবার অনশনে যোগ দেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। অনিকেত আরজি করের পিজিটি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগে রয়েছেন তিনি।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
শনিবার আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়, ‘‘যাঁরা অনশনে বসলেন, তাঁদের মধ্যে আরজি করের কেউ নেই।’’ এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেখানে কেন সেই হাসপাতালের কেউ উপস্থিত নেই? এমন প্রশ্নও উঠেছে যে, আরজি কর হাসপাতালের কেউ কি তবে আন্দোলনে বসতে রাজি নন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy