
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভা তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সংশোধিত ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাস হওয়ার পরে রাজ্য বিধানসভায় পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মের ভিত্তিতে নয়, সামাজিক, আর্থিক ও শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া অংশকেই মানদন্ড হিসেবে বিচার করে জন শুনানির মাধ্যমে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মহামান্য কোর্টের নির্দেশে মেনে দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানাই।’’
সম্প্রতি রাজ্যের ওবিসি (অনগ্রসর শ্রেণি) সংরক্ষণ নীতি নিয়ে হাইকোর্টের রায় মেনে সংশোধিত তালিকার খসড়া অনুমোদন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। গত ২ জুন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের তরফে একটি সংশোধিত (আপডেটেড) তালিকা পেশ করা হলে তাতে সিলমোহর দেন মুখ্যমন্ত্রী। তালিকা অনুযায়ী, আইনি জটিলতা দূর করতে আগে থাকা ৬৬টি জাতির সংখ্যা কমিয়ে ৬৪ করা হয়েছে এবং নতুন করে ৭৬টি জাতি সংযোজিত হয়েছে। ফলে রাজ্যে স্বীকৃত ওবিসি জনগোষ্ঠীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১৪০-এ।
মঙ্গলবার বিধানসভায় এই নিয়ে ‘অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি’ রুখতে বক্তৃতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন আর্থিক অনগ্রসরতার ভিত্তিতে সমীক্ষা করা হয়েছে। তাই ওবিসি শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও তাঁর এই দাবি মানতে চায়নি বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদলের রাজনীতির কারণে প্রকৃত ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্তেরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী অসত্য বক্তব্য রাখছেন, দাবি করে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভার অধিবেশন ছাড়লেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিধানসভার গেটের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অসত্য। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিরোধী দলনেতাকে বক্তৃতা করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল । কিন্তু স্পিকার তেমনটা করেননি। তাই তাদের এই প্রতিবাদ বলে জানিয়েছে বিজেপি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানিতে ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কোনও ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। আর্থিক অনগ্রসরতার ভিত্তিতে সমীক্ষা হয়েছে। ওবিসি এ বিভাগে ৪৯টি এবং ওবিসি বি বিভাগে ৯১টি শ্রেণি রয়েছে। আরও ৫০টি অন্তর্ভুক্ত হবে। সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।”
রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে বক্তৃতা করছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওবিসি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট একটি নির্দেশ দেয়। বেশ কিছু ওবিসিকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বাংলার চাকরিপ্রার্থীরা বিপদে পড়েন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছি। সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy