প্রধানমন্ত্রী: কাওয়াখালিতে নরেন্দ্র মোদী। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ দিন আত্মগোপন করে থাকার পরে বুধবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় প্রকাশ্যে দেখা গেল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিপিএ) উপদেষ্টা অনন্ত রায় ওরফে অনন্ত মহারাজকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে। সূত্রের খবর, কোচবিহারের চকচকায় রাজপ্রাসাদের অনুকরণে তৈরি তাঁর বিরাট বাড়ি ছেড়ে অসমে আত্মগোপন করে রয়েছেন অনন্ত। ভোটে বিজেপিকেই সমর্থন করেছে তাঁর দল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে জিসিপিএ-র নেতা, কর্মীরা এ দিন কাওয়াখালির মাঠে পতাকা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।
সভামঞ্চে উঠতে গিয়ে এ দিন বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মহারাজকে। নিরাপত্তাকর্মীরা মিনিট পনেরো আটকে রাখেন তাঁকে। মঞ্চের পাশেই রোদে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে দার্জিলিং জেলা বিজেপি নেতাদের তৎপরতায় মঞ্চে ওঠেন অনন্ত। তবে তাঁকে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বসতেও দেওয়া হয় পিছনের সারিতে। অনন্ত মঞ্চে এসেছেন সে কথা বিজেপির উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক রথীন্দ্রনাথ বসু একবার মাইকে ঘোষণা করেন। তারপর চেয়ার থেকে উঠে হাত নেড়ে বসে পরেন অনন্ত।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বাগডোগরার কাছে একটি নির্মীয়মাণ উপনগরীর মাঠে বিজেপির সভায় প্রধানমন্ত্রীর পাশের চেয়ারেই বসেছিলেন অনন্ত। বক্তৃতাও দিয়েছিলেন দীর্ঘ সময়। এ বার ঘণ্টাখানেক মঞ্চে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারও হয়নি তাঁর। বক্তৃতার সময় একবারের জন্যও অনন্তর নাম নেননি মোদী। মহারাজের সঙ্গে বিজেপির ওই ধরনের আচরণে বেজায় চটেছেন জিসিপিএ-র নেতা, কর্মীদের একাংশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিসিপিএ-র কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, ‘‘আমরা বিজেপির সহযোগী দল। মহারাজকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। ওরা ডেকে নিয়ে গিয়ে যে রকম আচরণ করেছে, সেটা ঠিক নয়।’’ মহারাজ অবশ্য এই সব বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। দলের সভাপতি নির্মল রায়কে ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন কাওয়াখালির মঞ্চে বক্তৃতায় রাজবংশীদের জন্য মাত্র একটি লাইন ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘কোচ, রাজবংশীদের দাবির বিষয়ে আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।’’
তা নিয়ে দিনহাটার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘‘রাজবংশীদের দিল্লিতে ডেকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পাঁচ বছরে কিচ্ছু করেননি। আজ মিটিংয়ে বলছেন, ভাবছি। কী আর ভাববেন? ভাবতে ভাবতে পগার পার হয়ে যাবেন। যা করার আমরা করেছি। রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি করেছি। রাজবংশী সহ একাধিক ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy