—ফাইল চিত্র।
জামিন-অযোগ্য ধারায় পরোয়ানার ক্ষেত্রে গ্রেফতার তো করতেই হবে। সেই সঙ্গে ভোট শুরুর আগে সব দাগি অপরাধীর ক্ষেত্রেই ধরপাকড়ের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে এই ধরনের দাগি অপরাধীর সংখ্যা ৯০০০। ওরা অবশ্য ভোট-দাগি। অর্থাৎ অতীতে কোনও না-কোনও ভোটে গোলমাল পাকানোর ঘটনায় ওদের নাম জড়িয়েছিল।
নবান্নের এক মুখপাত্র জানান, ভোট-দাগিদের প্রায় অর্ধেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও ভোটের আগে গ্রেফতার করা হবে অথবা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হবে। ‘ভোটের দিন কোনও গোলমাল করব না’— এই মর্মে বন্ড সই করিয়ে নেওয়া হবে তাদের দিয়ে।
কমিশনের এক কর্তার পর্যবেক্ষণ, পশ্চিমবঙ্গে ভোট-দাগিদের বাড়বাড়ন্ত সব চেয়ে বেশি। উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যেও এত বিপুল সংখ্যায় দাগি দেখা যায় না। গত চার-পাঁচটি নির্বাচনে যারা ভোটের দিন বা আগে অশান্তি বাধিয়েছে, মারদাঙ্গা করেছে, তাদের তালিকা করা আছে। এ বার সেই তালিকাভুক্তদের বিরুদ্ধে ভোটের আগেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার সংখ্যাও কমিয়ে পাঁচ হাজারে করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে রাজ্য। কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট শুরুর মুখে এই সংখ্যা শূন্য করতে হবে। অর্থাৎ যত লোকের বিরুদ্ধে এই ধরনের পরোয়ানা আছে, গ্রেফতার করতে হবে সকলকে। জানুয়ারিতে পরোয়ানা বলবৎ করার কাজ শুরুর সময় ৬৫ হাজার লোকের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় অভিযোগ ছিল। এখন তা কমে ৩০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ১১ এপ্রিলের আগে তা পাঁচ হাজারে নামাতে চায় রাজ্য পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy