Advertisement
০৯ মে ২০২৪

কপ্টার দিন, মমতার অনুরোধ চন্দ্রবাবুকে

চন্দ্রবাবুর দল তেলুগু দেশম প্রচারের জন্য একাধিক হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সুনন্দ ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০১
Share: Save:

নির্বাচনী প্রচারের জন্য হেলিকপ্টার পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। তাই এ বার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সাহায্যপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার অন্ধ্রে প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই কপ্টার নিয়ে চন্দ্রবাবুর কথা হয় তাঁর।

চন্দ্রবাবুর দল তেলুগু দেশম প্রচারের জন্য একাধিক হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়েছে। দুই ইঞ্জিনের সেই সব কপ্টার বেশ আধুনিক। মমতা চন্দ্রবাবুকে জানান, তৃণমূলের প্রচারের জন্য যদি ওই কপ্টার পাওয়া যায়, তাঁর দলের পক্ষ থেকে ভাড়া দেওয়া হবে। ১১ এপ্রিল অন্ধ্রপ্রদেশে ভোট শেষ হচ্ছে। তার পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টার পেতে অসুবিধা হবে না বলে মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ। চন্দ্রবাবুও এ বিষয়ে চেষ্টা করবেন বলে মমতাকে জানিয়েছেন।

বেশ কয়েক মাস ধরে তৃণমূলের তরফে হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল, মমতা এবং দলের অন্য নেতানেত্রী, স্টার প্রার্থী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যাতে কম সময়ে বেশি জায়গায় প্রচার চালাতে পারেন, সেই জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু দেশের যে-সব বড় সংস্থা হেলিকপ্টার ভাড়া দেয়, তারা কেউই ‘অজানা’ কারণে, তৃণমূলকে কপ্টার ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। ভাড়ার বড় অংশ অগ্রিম দিলেও সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, কপ্টার পাওয়া যাবে না। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভয়’-এ সংস্থাগুলি নারাজ। কারণ, নিয়মিত হেলিকপ্টার চালাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি চাই।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

শেষে কয়েকটি সংস্থার কাছ থেকে অনেক চেষ্টা করে চারটি হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যে একটি এখন কলকাতা বিমানবন্দরে রাখা আছে। দু’টি আছে বেহালায়। একটি আধুনিক হেলিকপ্টার আসার কথা। যেটি থাকবে শুধু মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের জন্য। অভিযোগ উঠেছে, বেশির ভাগ কপ্টারই বেশ পুরনো। তার গতিও তুলনায় কম। সব চেয়ে বড় যে-কপ্টার এসেছে, রাশিয়ায় তৈরি সেই এমআই ১৭২ হেলিকপ্টারের গতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। দিল্লির স্কাইওয়ান এয়ারওয়েজ সেটি ভাড়ায় চালায়। সাধারণত সেনাবাহিনী পণ্য পরিবহণ ও জওয়ানদের স্থানান্তরে নিয়ে যেতে এই কপ্টার ব্যবহার করে। যেটি তৃণমূলকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে, সেটি ২০০২-এ তৈরি। ১৭ বছরের পুরনো এই হেলিকপ্টার এর আগে উত্তর-পূর্ব ভারতে নেতানেত্রীদের নিয়ে উড়েছে। তাতে ১৬টি আসন রয়েছে।

নেতানেত্রীদের কথায়, এত বড় হেলিকপ্টার নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে সমস্যা হতে পারে মমতার। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যন্ত এলাকায় যাবেন। এত বড় হেলিকপ্টার নামতে তুলনায় বড় হেলিপ্যাডের প্রয়োজন। প্রত্যন্ত এলাকায় সেই হেলিপ্যাড বানানো না-ও যেতে পারে। তাই বড় কপ্টারটি রাখা থাকছে মূলত একসঙ্গে বেশ কয়েক জন তারকাকে কোনও কোনও জায়গায় প্রচারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বেহালায় রাখা দু’টি হেলিকপ্টার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করার কথা ববি হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাসদের। তবে সেই দু’টি হেলিকপ্টার বেশ পুরনো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE