মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ি বহু দিন ধরেই ভোটের রাজনীতিতে আলোচনার বিষয়। ভোটের দিনও ঠাকুরবাড়ির হাল-হকিকতের দিকে নজর থাকে সব মহলের। ২০১৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন মতুয়াদের বড়মাকে তৃণমূল ‘হাইজ্যাক’ করেছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী শিবিরের মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তা নিয়ে সকাল থেকে চলেছিল বিস্তর চাপান-উতোর। মতুয়া বাড়ির বড়মা কোন পক্ষে আছেন, তা প্রমাণের জন্য মরিয়া চেষ্টা দেখা গিয়েছিল। অন্য বার ভোটের দিনে নেতা-নেত্রীরা ঠাকুরবাড়িতে ভিড় করতেন সকাল থেকে। মতুয়া ভক্তদের ভিড়ও চোখে পড়ত।
এ বার অবশ্য ছবিটা একেবারে আলাদা। কারণ, মার্চ মাসে মারা গিয়েছেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপাণি দেবী (বড়মা)। তিনি না থাকায় এ বার ভোটে ঠাকুরবাড়ির ছবিটাই যেন আমূল বদলে গিয়েছে। সেই উৎসাহ, টানটান উত্তেজনা, ভক্তদের ভিড়, রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা— সব কিছু থেকেই এ বার অনেক দূরে ঠাকুরবাড়ি।
অথচ, এই বাড়িরই দুই সদস্য এ বার ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখি। বড়মার বড় বৌমা মমতা ঠাকুর তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন। উল্টো দিকে, বিজেপির প্রার্থী বড়মার নাতি শান্তনু। গত উপনির্বাচনে তাঁর দাদা সুব্রত ছিলেন বিজেপির প্রার্থী। সে বার বড়মাকে নিয়ে যে টানাপড়েন চলেছিল দু’পক্ষের— তা এখনও মনে রেখেছেন মতুয়া ভক্তেরা।