তৃণমূলের মিছিলে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সের সারিও। রবিবার। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
জঙ্গিপুরের ভোটপ্রচারে অ্যাম্বুল্যান্স মিছিল হওয়ায় বিতর্কে জড়াল তৃণমূল। ওই ঘটনায় তৃণমূলের নেতারাও রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যান। ভোট প্রচারে অ্যাম্বুল্যান্সের মিছিলে যে দলের কোনও সায় নেই, তা স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দেন।
রবিবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ শহরে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্স ও নিশ্চয় যান নিয়ে
মিছিল বের হয়। তার পরেই ওই গোটা ঘটনা জানিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সে তৃণমূলের পতাকা ও জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের জন্য ভোট চেয়ে ফ্লেক্স-ফেস্টুন লাগানো ছিল। অ্যাম্বুল্যান্সগুলি বেসরকারি হলেও জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী নিয়ে যাতায়াতে ব্যবহার করা হয়।
সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় জানান, প্রচারে নিশ্চয় যান ছিল। তেমনি ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। প্রচারে ওই জরুরি পরিষেবা ব্যবহার করে নির্বাচন বিধিভঙ্গ করেছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসনকে
জানানো হয়েছে।
কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট আশিস তেওয়ারি বলছেন, ‘‘শহরে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে মিছিল করল অথচ পুলিশের নজরে পড়ল না! অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে, মাইক বাজিয়ে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হল কী ভাবে? আমরা মিছিলের ছবি সহ নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”
বিজেপি প্রার্থী এ দিন আহিরণে প্রচারে গিয়ে শুনতে পান এই অ্যাম্বুল্যান্স মিছিলের খবর। তিনি বলেন, “গোটা তৃণমূল দলটাই কি এখন রোগী হয়ে গেছে? লোকজন না পেয়ে এখন অ্যাম্বুল্যান্সকেও মিছিলে ভরছে। শাসক দল বলে স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার।”
তৃণমূলের মহকুমা সভাপতি ও নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ নন্দ বলছেন, “আমরা খোঁজ নিচ্ছি কারা এবং কার অনুমতিতে এই অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে মিছিল করেছে। এটা করা যায় না। তবে জঙ্গিপুর হাসপাতাল সুপারের উচিত মিছিলে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালে নথিবদ্ধ থাকলে, তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপ করা।’’ জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সায়ন দাস বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy