ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়। ছবি : সংগৃহীত।
নাবালিকাকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করে, তা নিশ্চিত শনিবার করতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাবের কাছে আর্জি জানাল রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চট্টোপাধ্যায় নিজে এ দিন সিইও দফতরে গিয়েছিলেন। যদিও শুক্রবারই কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল।
গত মাসের শেষের দিকে নীলাঞ্জন এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। অন্যন্যা জানান, পকসো আইনে নাবালিকার জবানবন্দিতে যে হেতু পুরো ঘটনার বিবরণ রয়েছে, তাই তার ভিত্তিতে অবিলম্বে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত পুলিশের। তাঁর কথায়, ‘‘পকসো আইনে মামলা হয়েছে। তাই এখনই পদক্ষেপ করা উচিত। সিইও-কে আমরা বলেছি, পুলিশ যাতে যথাযথ পদক্ষেপ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।’’
নীলাঞ্জনের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘সংখ্যালঘু নাবালিকা মেয়েদের মসজিদে প্রবেশ যেখানে ওই সমাজের নিয়মে নিষিদ্ধ, সেখানে অনুকূল ঠাকুরের মন্দিরে তাও আবার একা নাবালিকা মেয়েকে সভা ভর্তি কর্মীদের মধ্যে বাবা ইব্রাহিম ঢুকিয়ে দিয়ে নিজে বাইরে থাকলেন, এটা হাস্যকর গল্প। আসলে শাসক দলের নির্দেশে অনুগত কুখ্যাত মাফিয়া ইব্রাহিম সর্দারকে দিয়ে ওই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অনন্যার দাবি, ‘‘পুলিশের কাছে সব প্রমাণ রয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক এমন অভিযোগ ছিল। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী। তাঁর পিছনে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সমর্থন রয়েছে। সেই কারণে পুলিশ সাবধানে পদক্ষেপ করতে চাইছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থাগ্রহণের অনুরোধ করেছি। মেয়েটি খুব ভয় পাচ্ছে। ওই প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে গেলে মেয়েটি এবং এলাকার অন্য বাসিন্দাদের সমস্যা হতে পারে।’’
অভিযোগ জমা পড়ার কথা স্বীকার করলেও ঠিক কী পদক্ষেপ করা হবে, তা সিইও দফতরের তরফে এ দিন জানানো স্পষ্ট করা হয়নি।
আজ, রবিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে নিরাপত্তাব্যবস্থা-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে এ দিন সিইও দফতরে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। অনন্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শিশু কমিশনের সদস্যদের কেউ কেউ তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছেন। আমাদের প্রার্থীর বদনাম করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে
এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।’’ অনন্যার পাল্টা বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল না বিজেপি, সেটা জরুরি নয়। ঘটনা ঘটেছে কি না, তা জানা জরুরি। ঘটনাটি ঘটেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy