নিজস্ব চিত্র।
আরও বেশি বাঙালি আমলা চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পৈলানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এমনই অনুরোধ জানান তিনি।
তাঁর কথায়, ‘‘নতুন প্রজন্মকে শুধু নিজের জন্য একটা চাকরি করলেই হবে না। তাদের ভাবতে হবে এমন কাজ করার, যাতে তারা হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আমলার চাকরিই শ্রেষ্ঠ।’’ বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন দফতরের সচিবদের দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই আইএএস’রা সকলেই সম্মান নিয়ে চাকরি করেন। এঁদের সামাজিক প্রতিষ্ঠাও যথেষ্ঠ। তাই বাঙালি ছেলেমেয়েদের আরও বেশি করে আইএএস-আইপিএস হতে হবে। নিদেন পক্ষে ডব্লিউবিসিএস-এ আরও বেশি ছেলেমেয়েকে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাংলার ছেলেমেয়েরা মাতৃভূমির জন্য কিছু করুক।’’
আসলে সর্বভারতীয় আইএএস-আইপিএস পরীক্ষায় বাঙালিদের প্রতিপ্রত্তি তেমন একটা নেই। এ বছরের ইউপিএসসি-র ফলেও দু’এক জন ছাড়া কেউ সফল হননি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, বঙ্গবাসী আমলা আরও বেশি সংখ্যায় এলে বাংলার প্রতি তাঁদের দরদ অনেক বেশি হবে। সেই নীতি মেনেই ইদানিং ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের তিনি চারটি জেলায় জেলাশাসক পদে বসিয়েছেন। যা আগে কখনও হয়নি। রাজ্যের নিজস্ব পুলিশ সার্ভিসের অফিসারদেরও অন্তত পাঁচটি জেলা বা কমিশনারেটের শীর্ষে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিন রাজ্য থেকে আসা আইএএসদের সরিয়ে আরও কয়েকটি জেলাশাসকের পদেও তিনি ডব্লিউবিসিএসদের বসাবেন বলে নবান্নের খবর। এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা জানান, এখন ১০ বছর চাকরি করলেই ডব্লিউবিসিএস-দের বড় পদে বসানো হবে।
সর্বভারতীয় পরীক্ষা দিয়ে বেঙ্গল ক্যাডারে আসা প্রবাসী আমলাদের মধ্যে অবশ্য এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের একাংশ জানিয়েছেন, রাজ্যের চারটি জেলার ডিএম এবং অন্তত পাঁচটি জেলার এসপি পদে আইএএস-আইপিএস’দের এ ভাবে সরিয়ে দেওয়া কখনও হয়নি। বহু আইএএস-কে এখনও জেলাশাসকের পদ দেওয়াই হয়নি। ঠিক একই ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতেও গত ছ’বছরে কোনও আমলাকে ছাড়েননি মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলে থাকেন, রাজ্যের উন্নয়নের যে কাজ, সেই তুলনায় অফিসার নেই। তাই এখনই কাউকে দিল্লি ছাড়া সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy