এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
দু’দিন আগেই নিজেকে তিনি ‘পাহাড় কা সিএম’ বলেছিলেন। এ বার সেই ‘সিএম’ বিমল গুরুঙ্গকে নাম না করেই কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, লুটেপুটে খাওয়া তিনি আর বরদাস্ত করবেন না। শুধু তাই নয়, রাজ্য যে আর কোনও ভাবেই মোর্চার সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটবে না, সে কথাও শনিবার মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
শুক্রবার রাতেই পাহাড় থেকে নেমে এসেছিলেন মমতা। রাতে উত্তরকন্যায় ছিলেন। এ দিন সকালে সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ওই বৈঠকে মমতা বুঝিয়ে দেন, তাঁর পাখির চোখ এ বার জিটিএ। আগামী জুলাইতেই জিটিএ-র নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তার আগেই ভোট করে নতুন বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত পাঁচ বছর তারা কেমন কাজ করেছে, তা মূল্যায়ণের ভার তিনি সাধারণ মানুষের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। এই বার্তাতেই স্পষ্ট, পাহাড়ের পুরভোটে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার পর এ বার তাদের নজরে জিটিএ। এ দিনই জিটিএ-র অডিট সংক্রান্ত কাজে পাহাড়ে পৌঁছেছে ৬ সদস্যের একটি দল।
আরও পড়ুন: তিন চালে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পাল্টা চাপ, বন্ধ জিটিএ সদর দফতর
শুক্রবার পাহাড় জুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে মোর্চা। সেই বন্ধের প্রভাব বেশ কিছু জায়গায় পড়ে। তবে, বিকেলের পর থেকে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে দার্জিলিং। দোকানপাট খুলতে শুরু করে। প্রচুর পর্যটক ভয়ে পাহাড় থেকে নেমে এলেও যাঁরা ছিলেন, তাঁরা রাস্তায় বেরোন। ম্যাল ভরে ওঠে পর্যটকে। তবে, এ দিন সকালে দার্জিলিঙে মিছিল বের করে তৃণমূল। কার্শিয়াঙেও তাদের পথে নামতে দেখা যায়। পর্যটকদের ঘরে ফেরার কথা মাথায় রেখে আগামিকাল রবিবারও পাহাড় থেকে নীচে নামতে এবং কলকাতায় পৌঁছতে নিখরচায় বাস চালানোর কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারের ওই বিশৃ়ঙ্খল পরিস্থিতির পর সরিয়ে দেওয়া হয় দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগিকে। এ দিন তাঁকে লম্বা ছুটিতে পাঠানো হয়। তাঁর জায়গায় দার্জিলিঙের নতুন পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় অখিলেশ চতুর্বেদীকে। পাশাপাশি, এ দিনই বদলি করা হয়েছে কালিম্পং এবং কার্শিয়াঙের আইসি-দের।
এ দিন বিকেলে বাগডোগরা থেকে কলকাতার বিমান ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy