Advertisement
E-Paper

পঞ্চায়েতের পরে আদিবাসীদের কাছে আজ মমতা

পঞ্চায়েত ভোটের পর এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়গ্রাম সফর। ফলে আদিবাসী দিবসের মঞ্চ ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন সে দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। বিরোধীদের দাবি, কৃতীজন সংবর্ধনার মাধ্যমে জঙ্গলমহলের মানুষের ‘মন জয়ে’র চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার চেন্নাই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ সেখানে পৌঁছন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫১
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ফাইল চিত্র।

আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ, বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য স্তরের ওই অনুষ্ঠানে আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণির কৃতীজনদের সংবর্ধনা জানাবেন তিনি। সংবর্ধনা প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে সাঁওতালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদার। যিনি ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর প্রতিষ্ঠাতা নরেন হাঁসদার মেয়ে।

পঞ্চায়েত ভোটের পর এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়গ্রাম সফর। ফলে আদিবাসী দিবসের মঞ্চ ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন সে দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। বিরোধীদের দাবি, কৃতীজন সংবর্ধনার মাধ্যমে জঙ্গলমহলের মানুষের ‘মন জয়ে’র চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার চেন্নাই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ সেখানে পৌঁছন তিনি।

কয়েক বছর আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরবাহা। অনুমতি না নিয়ে মুক্তিধারা প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এই নিয়ে জলঘোলা হলেও সরকারি তরফে কেউ মুখ খোলেননি। নব্বইয়ের দশকে পর পর দু’দফায় বিনপুরের বিধায়ক ছিলেন নরেনবাবু। ১৯৯৯ সালে নরেনবাবু প্রয়াত হওয়ার পরে তাঁর স্ত্রী চুনিবালা হাঁসদাও বিনপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন। মায়ের মতো বিরবাহাও সক্রিয় রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। তবে সফল হননি। ২০১১ সালে বিনপুর বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড (নরেন) দলের হয়ে দাঁড়িয়ে সিপিএমের কাছে হেরে যান বিরবাহা। ২০১৩ সালে ঝাড়গ্রাম পুরভোটে ঝাড়খণ্ড নরেন দলের প্রার্থী হয়ে ফের পরাজয়।

আরও পড়ুন: রাজুর সিআইডি হেফাজত, ফের সরব ভারতী

এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি জনসভায় ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও ব্রাত্য ছিলেন বিরবাহা। ফলে লোকসভা ভোটের আগে তাঁকে সরকারি সম্মান জানানোর সিদ্ধান্তে জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। যদিও বিরবাহার দাবি, ‘‘নিজের রাজ্য থেকে সরকারি সম্মান পেতে চলেছি। খুবই ভাল লাগছে। এখানে রাজনীতির বিষয় নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিজের শহরে সরকারি মঞ্চে সংবর্ধনা পাব, এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।”

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।

Indigenous Day Mamata Banerjee মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy