Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে পাঁচিল গড়তে ৭২ লক্ষ

সমস্যা সমাধানে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য বারবার আবেদন করেছিলেন। অবশেষে নড়ে বসেছে প্রশাসন। গত মে মাসে গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালের সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ১২:৫০

সীমানা পাঁচিল নেই। ফলে, বহিরাগতরা চাইলেই ঢুকে পড়তে পারে গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। এতে শুধু রোগীদের নয়, পাশে থাকা চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের আবাসনের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে। কয়েক বছর আগে হাসপাতাল চত্বরের সীমানা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন আর তার চিহ্ন নেই।

সমস্যা সমাধানে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য বারবার আবেদন করেছিলেন। অবশেষে নড়ে বসেছে প্রশাসন। গত মে মাসে গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালের সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।

গড়বেতা-১ ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েতের প্রায় ২ লক্ষ মানুষের ভরসা এই হাসপাতাল। ৬০ শয্যার হাসপাতালে রোগীদের ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দিতে চিকিৎসক, নার্সরা হাসপাতাল চত্বরেই আবাসনে থাকেন। ছোট-বড় মিলে ৫২টি আবাসন (কোয়ার্টার) রয়েছে। নার্স আন্না হাজরা বলছিলেন, ‘‘সীমানা পাঁচিল না থাকায় সন্ধের পরে ভয় করে। কয়েক বছর আগে এক চিকিৎসকের আবাসনে চুরি হয়েছে। দিনের বেলায় বাইরে জামাকাপড় শুকতে দিলে চুরি হয়ে যায়।’’ গড়বেতা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মিদ্যা মানছেন, ‘সীমানা পাঁচিল খুবই প্রয়োজন। হাসপাতালের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে।’’

প্রশাসনের অবশ্য দাবি, এ বার দ্রুত সীমানা পাঁচিলের কাজ সারা হবে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মেদিনীপুর জোনের নির্বাহী বাস্তুকার রবিন মুখ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘গড়বেতা হাসপাতালের ৯০৪ মিটার সীমানা পাঁচিলের জন্য টেন্ডার হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।’’

Garhbeta Rural Hospital Wall
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy