Advertisement
০৪ মে ২০২৪

প্রতারণা, স্কুল বন্ধের নির্দেশ

বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচে লাগাম টানার পর বেসরকারি স্কুলে ফি কাঠামো নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এ বার তারই রেশ ধরে অতিরিক্ত ফি নেওয়া ও প্রতারণার অভিযোগে বুধবার কাঁথির সাবাজপুটের এক বেসরকারি বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল।

অভিযুক্ত: এই স্কুলই বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

অভিযুক্ত: এই স্কুলই বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ০০:৪৮
Share: Save:

বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচে লাগাম টানার পর বেসরকারি স্কুলে ফি কাঠামো নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ বার তারই রেশ ধরে অতিরিক্ত ফি নেওয়া ও প্রতারণার অভিযোগে বুধবার কাঁথির সাবাজপুটের এক বেসরকারি বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল।

ইংরেজি মাধ্যমের ‘সিস্টার মার্গারেট স্কুল’ নামে ওই স্কুলের নতুন নামকরণ হয়েছে ‘নর্থ পয়েন্ট ডে স্কুল’। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে এই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নেওয়া ও প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ‘‘বিদ্যালয়টি প্রথমে দিল্লির একটি বোর্ডের মাধ্যমে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ানোর নাম করে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করায়। কিন্তু পরে গোয়ালিয়রের একটি বোর্ডের মাধ্যমে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দেওয়ায়।

অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক রশ্মি কমল। জেলাশাসক বলেন, “কাঁথি ১ ব্লক প্রশাসনকে দিয়ে এই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিদ্যালয়টি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

স্কুলের শিক্ষিকা মৌসুমী মাইতির মেয়ে মৌলি নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল এই স্কুলে। মৌসুমীদেবীর দাবি, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিল্লি বোর্ডের মাধ্যমে পড়াশুনার জন্য অতিরিক্ত ফি নিয়েছিল। যা গোয়ালিয়র বোর্ডের খরচের তুলনায় অনেক বেশি। এখন তো মেয়েকে আবার কাঁথির অন্য স্কুলে ভর্তি করালাম।’’

স্কুলের আরেক ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগ, ‘‘মেয়েকে যখন ভর্তি করিেয়ছিলাম, তখন একবার ফি দিয়েছিলাম। পরে আবার নানা অজুহাতে টাকা চাওয়া হচ্ছিল। আমরা দিচ্ছিলামও। কিন্তু পরে সেই অনুষ্ঠান বা যার জন্য টাকা নেওয়া হয়, সগুলো কিছুই হত না।’’

স্কুলের অধ্যক্ষ মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাজারিবাগের মুনাম পাবলিক স্কুলের মাধ্যমে আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা দিল্লি বোর্ডে পরীক্ষা দেবে, এমনটা ঠিক ছিল। শিক্ষাবর্ষের মাঝে মুনাম পাবলিক স্কলের সাথে দিল্লি বোর্ডের ঝামেলা হয়। তখন আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রেজিশট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। পরে অভিভাবকদের সাথে কথা বলেই গোয়ালিয়রের এই বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলাম।”

বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর তোপের পর জেলাশাসকের এমন সিদ্ধান্তে অবশ্য খুশিই অভিভাবকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fraud Private School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE