কিংকর্তব্য: কর্ণ জেল ভেঙে পালানোর পর। নিজস্ব চিত্র
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোয় শেষ পর্যন্ত ‘হ্যাট্রিক’ করেই ফেলল কর্ণ।
পুলিশ খুন, ডাকাতি, পেট্রোল পাম্প লুঠের মতো ঘটনায় জড়িত এই দাগি আসামি পালিয়েছে কাঁথি উপ-সংশোধনাগার থেকে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ কয়েদি গোনার সময় দেখা যায় দু’জন কম। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, কর্ণের সঙ্গে পালিয়েছে খিদিরপুরের মেটিয়াবুরুজ এলকার বাসিন্দা শেখ নাজির হোসেন নামে আরও এক বিচারাধীন বন্দি।
কাঁথি উপ-সংশোধনাগারের সাব-জেলার সুরজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘জানালার লোহার রড কেটে পালিয়েছে ওই দুই দুষ্কৃতী। সম্ভবত সোমবার রাতেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’ মঙ্গলবার মারিশদা ব্যাঙ্ক ডাকাতির একটি মামলায় কাঁথি আদালতে কর্ণকে হাজির করানোর দিন ছিল। তাই ২৬ এপ্রিল হলদিয়া থেকে তাকে আনা হয়েছিল কাঁথিতে। ৮ মে কাঁথি আদালতে তোলার কথা ছিল শেখ নাজিরকে। অভিযোগ, ২০১৫ সালে সুপারি নিয়ে দিঘায় এক ঠিকাদারকে খুন করেছিল নাজির।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর বত্রিশের কর্ণের বাড়ি কাঁথির মাজিলাপুরে। বাড়িতে বাবা ও মা আছেন। ২০০৬ সালেও কাঁথি উপ-সংশোধনাগার থেকেই পালিয়ে গিয়েছিল কর্ণ। সে সময় রাজমিস্ত্রির বাঁধা বাঁশের ভারা বেয়ে পালায় সে। অবশ্য সেই দিনই তাকে পাকড়েছিল কাঁথি থানার পুলিশ। ২০১৫ সালের অক্টোবরেও একটি ডাকাতির মামলায় কাঁথি আদালতে তোলার কথা ছিল তাকে। অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গে কর্ণকে যে গাড়ি করে এনেছিল পুলিশ, সেখান থেকেই লাফ দিয়ে আদালতের ভবন টপকে পালায় সে। এই সময়েই চণ্ডীপুর ও কাঁথির রসুলপুরে দু’টি পেট্রোল পাম্পে ডাকাতির মামলায় উঠে আসে তার নাম।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মহিষাদলের রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল নবকুমার হাইতকে গুলি করে খুনের ঘটনাতেও নাম জড়ায় কর্ণের। খুনের কয়েকদিন পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে তাকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর হলদিয়া সংশোধনাগারে ছিল কর্ণ। হলদিয়া আদালতে এখনও বিচারাধীন কনস্টেবল নবকুমার হাইত হত্যা মামলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy