Advertisement
১১ জুন ২০২৪

বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে কলেজে বিক্ষোভ

ঠিকাকর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সদস্যরা। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে হলদিয়ার ডক্টর মেঘনাদ সাহা ইনসটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজে এই বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভের জেরে কলেজের মূল ভবনের গেটও খোলা যায়নি। কলেজে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হন কলেজের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। তবে কলেজের অধ্যক্ষ তাপসী বিশ্বাস মন্তব্য করতে চাননি।

হলদিয়ায় কলেজ বন্ধ, ফিরে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।

হলদিয়ায় কলেজ বন্ধ, ফিরে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৫ ০১:২৫
Share: Save:

ঠিকাকর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সদস্যরা। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে হলদিয়ার ডক্টর মেঘনাদ সাহা ইনসটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজে এই বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভের জেরে কলেজের মূল ভবনের গেটও খোলা যায়নি। কলেজে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হন কলেজের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। তবে কলেজের অধ্যক্ষ তাপসী বিশ্বাস মন্তব্য করতে চাননি।

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে এই কলেজে কর্মী নিয়োগের বরাত পেয়েছে দু’টি ঠিকাদার সংস্থা। কিন্তু ওই দুই সংস্থার কর্তাদের অভিযোগ, কলেজের পুরনো কর্মীরা তাঁদের সংস্থার কর্মীদের কাজে যোগ দিতে দেননি। সাহারা সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি ঠিকা সংস্থার মালিক সুনীলকুমার মাহাতোর কথায়, “যাঁরা এ দিন আন্দোলন করলেন, তাঁরা আমাদের কর্মীই নন। ফলে তাঁদের বেতন দেওয়ার প্রশ্ন নেই।” অন্য আর একটি ঠিকাদার সংস্থা কারটিয়ার ডাইনামিক্সের অংশীদার সুশান্ত দে বলেন, “পুরানো কর্মীরা যে সব দাবি জানাচ্ছেন তাতে তাঁদেরকে দিয়ে কাজ করানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে আমরা সেখানে কাজ শুরু করিনি। বিষয়টি কারিগরি শিক্ষা দফতরকেও জানিয়ে দিয়েছি।”

আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত শ্রমিক ইউনিয়ানের ওই কলেজের ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু বেরা জানান, তাঁদের কর্মীরাই দীর্ঘদিন ধরে কলেজে ঠিকাদার সংস্থার আওতায় কাজ করেন। নতুন টেন্ডারে ঠিকাদার সংস্থার পরিবর্তন হলেও কর্মীদের পরিবর্তন হয় না। তাঁর কথায়, “গত ডিসেম্বরে নতুন বরাত পাওয়ার ওই দুই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা আমাদের মৌখিকভাবে কাজ করতে বলে। কিন্তু আগের থেকে কম বেতন দেওয়ায় আমরা তা নিইনি। আমাদের দাবি সরকারি নিয়ম মেনে বেতন দিতে হবে।”

এ দিন বিকেলে কলেজের দুটি ঠিকাদার সংস্থাকে আলোচনায় ডেকেছিলেন হলদিয়ার সহশ্রম কমিশনার গোপাল বিশ্বাস। তবে সাহারা সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি সংস্থার কর্মকর্তারা এলেও কারটিয়ার ডাইনামিকস সংস্থার পক্ষ থেকে কেউ বৈঠকে যোগ দেননি। কিন্তু কলেজে এমন বিক্ষোভের ফলে তো পড়ুয়াদের অসুবিধা হচ্ছে! শান্তনুবাবু বলেন, “জানি, ছাত্রছাত্রীদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ডিসেম্বর মাস থেকে বেতন না পাওয়ায় আমাদের পরিবার সমস্যায় পড়েছে। একান্তি বাধ্য হয়েই এই আন্দোলন।”

হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল এই কলেজের আইএনটিটিইউসির ইউনিয়নের সভাপতি। তিনি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতিও বটে। তাঁর কথায়, “নতুন যে ঠিকাদার সংস্থা পুরনো কর্মীদের কম বেতন দিতে চাইছে। আমরা নতুন ঠিকাদার সংস্থাকে পুরনো হারেই বেতন দেওয়ার কথা জানিয়েছি। তবে এই আন্দোলনের জেরে যাতে ভবিষ্যতে পড়ুয়াদের কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা নজরে রাখব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

haldia salary agition
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE