প্রতীকী ছবি।
প্লাবিত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন স্টেশন ম্যানেজার এবং অন্য কর্মীরা। তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তিদের পঞ্চায়েত অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে চণ্ডীপুর ব্লকের ঈশ্বরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সুনীল প্রধান-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে পটাশপুর, এগরা, ভগবানপুর ও চণ্ডীপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহু এলাকায় বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ডুবে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। ঈশ্বরপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকায় গত বুধবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। পানীয় জলের জন্য সাব-মার্সিবল চালাতে বৃহস্পতিবার অল্প সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেও পরে তা ফের বন্ধ করা হয়েছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূল নেতা সুনীল প্রধান শুক্রবার ফের ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ চালুর দাবি জানিয়েছিলেন। সেই মতো শুক্রবার বিকালে ওই এলাকা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন চণ্ডীপুর বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার শ্যামল মণ্ডল। দফতরের তিন কর্মীকে নিয়ে তিনি ঈশ্বরপুর পঞ্চায়েতের কুলুপ গ্রামে যান।
অভিযোগ, ফেরার সময় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছে পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল এবং তার কয়েকজন সঙ্গী মোটরসাইকেলে চেপে এসে শ্যামলদের গাড়ি আটকায়। তাঁকে পঞ্চায়েত অফিসে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। শ্যামলের সঙ্গে থাকা বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। চাপের মুখে স্টেশন ম্যানেজার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে বাধ্য হন।
আধিকারিককে রাত ১০টা পর্যন্ত আটকে রাখার খবর পেয়ে জেলা বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা চণ্ডীপুর থানায় জানান। পুলিশের হস্তক্ষেপে স্টেশন ম্যানেজার ছাড়া পান এবং চণ্ডীপুর থানায় গিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান- সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার শ্যামল হাজরা বলেন, ‘‘চণ্ডীপুরের স্টেশন ম্যানেজারকে আটকে হেনস্থার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলাপ্রশাসনেও জানানো হয়েছে।’’
অভিযুক্ত গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সুনীল প্রধানের অবশ্য দাবি, ‘‘প্লাবিত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পানীয় জল সরবরাহের জন্য কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ চালুর জন্য বলেছিলাম। পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছিল। ওঁকে আটকে রেখে দিয়ে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। জোর করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার অভিযোগও ঠিক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy