জোগান অব্যহত ইলিশের। অনুকূল আবহাওয়ায় শনিবারও রুপোলি হয়ে গিয়েছে দিঘা। প্রায় ৩০ টন ইলিশ নেমেছে দিঘা মৎস্য বন্দরে। শুধু দিঘা নয়। শৌলা, পেটুয়াঘাটেও নামে মৎস্যজীবীদের জালেও ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠেছে। তবে মাপে বিশেষ বড় নয়। তাই দামও নেহাত কম নয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন নিম্নচাপের ঝিরঝিরে বৃষ্টি, দিনভর মেঘলা আকাশ আর পুবালি হাওয়ার ত্র্যহস্পর্শেই এই সৌভাগ্য মৎস্যপ্রেমীদের। এ দিন সকাল থেকেই দিঘা মোহনায় মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রেতাদের ভিড়ও উপচে পড়েছে বাজারে। যে কয়েকজন পর্যটক এই মরসুমে দিঘায় এসেছেন, তাঁরাও সকাল সকাল হাজির হয়েছেন বাজারে, মাছ কিনে নিয়ে যেতে।
শুক্রবারের থেকে দাম অবশ্য কমেনি। ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিকিয়েছে ৩০০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম দরে। ছ’সাতশো গ্রামের মাছ বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা দরে। এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম হাজার টাকাই রয়েছে।
মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, বড় মাপের ইলিশ খুব বেশি না ওঠায় দাম কমেছে না। দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “শুক্রবার স্থানীয় বাজারগুলোতে গিয়েছে ইলিশ গিয়েছে। শনিবার অবশ্য বেশিরভাগ ইলিশ ভিন্ জেলায় বিশেষত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে যাচ্ছে।’’ স্বাভাবিক ভাবেই আগামী কয়েকদিনে ওই সব জেলার ভোজনরসিকদের পাতে পড়বে দিঘার ইলিশ।
শুধু ইলিশও তো নয়। অনুকূল আবহাওয়ায় অন্য অনেক মাছই বাজার ভরিয়ে ফেলছে।