Advertisement
১০ জুন ২০২৪

প্রচারে তাল রাখতে হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া 

সকলের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে তো! তাই স্মার্টফোন কিনে খুলেছেন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দেবমাল্য বাগচী
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫৭
Share: Save:

উচ্চ মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা হয়নি। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বিয়ের পরে সংসার সামলাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামের খুকু বিষয়ী প্রামাণিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ভাবে সড়গড় নন। সংসারের কাজের ফাঁকে সেই সুযোগ বা কোথায়! কিন্তু এ বার তিনি জেলা পরিষদের একটি আসনে শাসক দলের প্রার্থী। সকলের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে তো! তাই স্মার্টফোন কিনে খুলেছেন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের পাশাপাশি ফেসবুকেও সমান তালে প্রচার চালাচ্ছেন খুকু। রান্নার ফাঁকে ফেসবুক দেখতে-দেখতে বছর পঁচিশের খুকু বলছিলেন, “সকলে তো ফেসবুকে নির্বাচনী প্রচার করছেন। আমি সাধারণ বাড়ির মেয়ে। কিন্তু পিছিয়ে থাকব কেন? তাই বাড়ি-বাড়ি প্রচারের সঙ্গে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে একটি পোস্ট করে প্রচার চালাচ্ছি। তাতে সকলের মতামত পেয়ে ভাল লাগছে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এই প্রচারে জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি, বিদায়ী জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা থেকে তৃণমূলের পিংলার সভাপতি শেখ সবেরাতি, কর্মাধ্যক্ষ রফিজুল ইসলাম, যুব তৃণমূলের সবংয়ের সভাপতি আবু কালাম বক্সের মতো নেতা-নেত্রীরা উঠে আসছেন।

তাঁদের সঙ্গে তাল মেলাতে ফেসবুকে একই ভাবে প্রচার চালাচ্ছেন শালবনির অঞ্জনা মাহাতো থেকে পিংলার খুকু বিষই, রুনু মাজিরা।

আপাতত ভোট প্রক্রিয়া স্থগিত। তা ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিলেও এখনও দলীয় প্রতীক পাননি। ফলে তিনি প্রার্থী হিসাবে শেষপর্যন্ত বিবেচিত হবেন কি না সেই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তৃণমূলের ডেবরার ব্লক কোর কমিটি সদস্য তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী রতন দে বলেন, “যেহেতু আমাদের ব্লকে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, তার উপরে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে তাই আমরা প্রচার চালাতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও যাঁরা ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা অতি উৎসাহী হয়ে এসব করছেন।” এতে অবশ্য দোষ খুঁজে পাচ্ছেন না যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা দাঁতন-২ ব্লকের জেলা পরিষদের প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরি। তিনি বলছেন, “আমার চারটি অঞ্চলের যুব কর্মীরা ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি প্রচারের সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারে সুফল পাচ্ছি। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। তাই পঞ্চায়েতস্তরেও নির্বাচনের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়া জায়গা করে নিয়েছে।”

পিছিয়ে নেই বিজেপি প্রার্থীরাও। মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী অমিত ত্রিপাঠী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন যে বাস্তব হয়েছে তা এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের হিড়িক প্রমাণ দিচ্ছে। আমিও সকলকে দেখে ফেসবুকে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে প্রচার শুরু করেছি। ক্রমেই সাড়া পাচ্ছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Facebook Panchayat election ফেসবুক
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE