কলেজে কর্মশালা। নিজস্ব চিত্র।
নারী ও শিশু পাচার বন্ধে কর্মশালা হল মঙ্গলবার। মঙ্গলবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে মেদিনীপুর কলেজের সহযোগিতায় কলেজের বিবেকানন্দ হলে কর্মশালা হয়। কী ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে নারী ও শিশু পাচার হয় কর্মশালায় সে ব্যাপারে আলোচনা করেন বক্তারা। একইসঙ্গে পাচার রোধে কী করা যায় সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়।
কর্মশালা শেষে নারী পাচার বিষয়ে একটি নাটকও হয়। এক সময় পাচার হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করেছেন এমন মেয়েরাই নাটকে অভিনয় করেন। কমর্শালায় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র বেরা, বিচারক অজেয়ন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, ডিএসপি (প্রশাসন) মনোরঞ্জন ঘোষ-সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারকরাও।
মূলত, গরিব ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মেয়েরাই যে পাচারের লক্ষ্য সেই বিষয়টি বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্যে সে কথাই উঠে আসে। প্রত্যেকেই জানান, কখনও কন্যার পিতাকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েকে বিয়ে করার নাটক করে নিয়ে গিয়ে পাচার করা হয়। আবার কখনও কাজের লোভ দেখিয়ে বা ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে পাচার করা হয়। নারী পাচার বন্ধে ছাত্রীদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত, তা নিয়েও আলোচনা হয়। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি, সাঁকরাইল, বিনপুর-২ ও গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক থেকেই ৭৫ জন নারী পাচারের ঘটনা ঘটেছে। যাদের বয়স গড়ে ১৪-৩৫ বছর। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক স্বাতী দত্ত জানান, পাচার হওয়া বেশিরভাগ মেয়েকেই নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত ও চেন্নাইয়ে। তাঁর কথায়, “ওই জায়গা থেকেই অনেককেই উদ্ধার করেছে পুলিশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy