হাঁটলেন গবেষকেরা। নিজস্ব চিত্র
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে পথে নামলেন আইআইটির গবেষক পড়ুয়ারা। বুধবার সন্ধ্যায় মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ মিছিল করেন তাঁরা। জিমখানা থেকে শুরু হয়ে নিবেদিতা হল, বিধানচক হয়ে মিছিল শেষ হয় জিমখানাতেই।
এ দিন প্রতিষ্ঠানের জিমখানার সামনে তাঁদের অনশন কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। আগামী সপ্তাহে লাগাতার অনশন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গবেষক পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচি মূলত কেন্দ্রীর মানব সম্পদ উন্নয়ণ মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। চার বছর অন্তর যে ভাতা বৃদ্ধির নিয়ম রয়েছে সেটি কার্যকরের ব্যবস্থা করার দাবিও রয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষক পড়ুয়ারা একই বিষয়ে আন্দোলনে নেমেছে। এ বার তাতে সামিল হল খড়্গপুর আইআইটি।
আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গবেষক পড়ুয়াদের ভাতা প্রতি চার বছর অন্তর বাড়ে। ২০১৪ সালে শেষ বার ৫৬ শতাংশ ভাতা বেড়েছিল। জুনিয়ার রিসার্চ স্কলাররা এখন ২৫ হাজার টাকা ও সিনিয়র রিসার্চ স্কলাররা ২৮ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে পাচ্ছেন। সেই টাকাতেই তাঁদের মাস চালাতে হয়। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানে ফি বাবদ ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়। আইআইটির চুক্তি অনুযায়ী, গবেষকেরা ঘর ভাড়ার টাকা পান না। বছরে ৪ মাস হস্টেল ছুটি থাকে। তখন থাকা ও খাওয়া-দাওয়া বাবদ বাড়তি খরচ হয়। সব মিলিয়ে খরচ সামলাতে হিমশিম অবস্থা গবেষকদের। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৪ সালের পরে ২০১৮ সালের মার্চে ভাতা বৃদ্ধির কথা ছিল। সেটি এখনও বাড়েনি। খড়্গপুর আইআইটিতে বর্তমানে প্রায় ১,৬০০জন গবেষক পড়ুয়া রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আন্দোলনে নেমেছেন। আন্দোলনে সামিল ‘সেন্টার ফর থিয়োরিটিক্যাল স্টাডিজে’র সদস্য সায়ন দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা ঘরভাড়ার টাকা পাই না। ভাতা না বাড়ায় আমরা সমস্যায় পড়েছি।”
ধাতুবিদ্যা বিভাগের গবেষক পড়ুয়া সৈকতকুমার কুঁইল্যা বলেন, “আমাদেপ আন্দোন আইআইটির বিরুদ্ধে নয়, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। ভাতা বৃদ্ধি ও গত এপ্রিল থেকে বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবি রয়েছে। কর্তৃপক্ষের আবেদনে অনশন স্থগিত রেখে মোমবাতি মিছিল করলাম। এরপরেও সুফল না পেলে অনশন হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy