Advertisement
০৬ মে ২০২৪
দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রুখতে ভরসা ক্যামেরা

নিরাপত্তায় পুর-উদ্যোগ ঘাটালে

ঘাটালের পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ বলেন, “এ বার থেকে থানা এবং পুরসভায় বসেই পুরো শহরে কোথায় কী ঘটছে, তা লক্ষ রাখা হবে।

প্রয়োজন: শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড। এখানে নজরদার ক্যামেরার দাবি বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র

প্রয়োজন: শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড। এখানে নজরদার ক্যামেরার দাবি বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪০
Share: Save:

শহরে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। ছিনতাই, চুরি, কটূক্তির অভিযোগ উঠছে দিনদুপুরে। আইনশৃঙ্খলা মোকাবিলা করতে তাই ঘাটাল শহরকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়।

ঘাটালের পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ বলেন, “এ বার থেকে থানা এবং পুরসভায় বসেই পুরো শহরে কোথায় কী ঘটছে, তা লক্ষ রাখা হবে। দুষ্কৃতীদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হবে।” পুলিশ ও প্রশাসনের আশা, শহরে অপরাধ মোকাবিলার করার কাজটা এ বার অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। সব রকমের দুষ্কর্মের ছবিই উঠে যাবে ক্যামেরায়। এর ফলে দুষ্কৃতীদের নাগাল পেতে সুবিধা হবে। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত শুরু হবে কাজও। পুরসভার এই উদ্যোগে খুশি শহরবাসী।

পুরসভা সূত্রে খবর, ‘গ্রিন সিটি’র বরাদ্দ করা টাকায় শহরে বসতে চলেছে ৬৩টি ক্যামেরা। এতে বরাদ্দ হয়েছে ২৯ লক্ষ টাকা। পরে বাড়বে সংখ্যাটা। ক্যামেরা বসানোর জন্য ইতিমধ্যেই শহরের পুরসভা মোড়, পোস্ট অফিস চক, মহকুমাশাসকের অফিস, থানা, কেন্দ্রীয় ও পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড, আড়গোড়া, ময়রাপুকুর, কুশপাতা-সহ শহরের মোট ২১টি জনবহুল মোড় এবং এলাকাকে চিহ্নিত করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ হবে পুরসভা থেকেই। রাতেও যাতে কার্যালয় থেকেই ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চলে, বন্দোবস্তও হবে তা-ও। জানা গিয়েছে, রাতের শহরের ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালাবে ঘাটাল থানার পুলিশও।

এক পদস্থ কর্তার দাবি, “এমনিতেই সকাল থেকে রাত সাদা পোশাকে পুলিশ নজরদারি চালায়। ক্যামেরা বসার পর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। ক্যামেরায় অপরাধের ঘটনা ধরা পড়লেই জানানো হবে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের, যাতে শহর ছাড়ার আগেই অপরাধীরা ধরা পড়ে।”

স্থানীয় সূত্রে খবর, ইদানীং শহরে মাঝেমধ্যেই টাকা ছিনতাই এবং বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। স্কুল ছাত্রী ও মহিলাদের উদ্দেশে কটূক্তির ঘটনাও ঘটছে। রাতের দিকে মেয়েদের একা টিউশনে ছাড়তেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়াও শহরের নির্জন এলাকায় বসছে জুয়ার আসর। প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে নেশার দ্রব্যও। ফলে ইভটিজিংয়ের মতো অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে শহরে। সব মিলিয়ে বিঘ্নিত হচ্ছে ঘাটালের নিরাপত্তা।

এ বার শহরবাসীর একাংশের প্রশ্ন তুলছেন, ক্যামেরা লাগানো হলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ হবে কী করে? কারণ নিরাপত্তার অভাবে সেগুলি চুরি হতে পারে। এ বিষয়ে পুরপ্রধান বিভাসবাবু বলেন, “যে সংস্থা ক্যামেরা বসানোর বরাত পাবে, দেখভাল করবে তারাই। টেন্ডারে এই বিষয়টিরও স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

miscreant CCTV
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE