Advertisement
১৭ মে ২০২৪

শহরের সব বড় মোড়ে বসছে নজর ক্যামেরা

গত ১১ জানুয়ারি দুপুর। খড়্গপুরের নিউসেটলমেন্টে খাস তৃণমূল কার্যালয়ে গুলিতে খুন হয়েছিল রেল মাফিয়া শ্রীনু নায়ডু।তার দিন পনেরো আগে গত ২৬ ডিসেম্বর শহরের খরিদা বাঙালিপাড়ায় গলিপথে চলেছিল গুলি।

বসেছে নজর ক্যামেরা। নিজস্ব চিত্র।

বসেছে নজর ক্যামেরা। নিজস্ব চিত্র।

খড়্গপুর
শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৫
Share: Save:

গত ১১ জানুয়ারি দুপুর। খড়্গপুরের নিউসেটলমেন্টে খাস তৃণমূল কার্যালয়ে গুলিতে খুন হয়েছিল রেল মাফিয়া শ্রীনু নায়ডু।

তার দিন পনেরো আগে গত ২৬ ডিসেম্বর শহরের খরিদা বাঙালিপাড়ায় গলিপথে চলেছিল গুলি। খরিদাবাজারে দোকান বন্ধ করে রাজগ্রামে বাড়ি ফেরার পথে জখম হন দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ওই ঘটনার কিনারায় স্থানীয় একটি সিসিটিভি সাহায্য করেছিল বলে পুলিশের দাবি। সিসিটিভির সূত্র ধরেই এই ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

খুন-জখম-চুরি-ছিনতাই, খড়্গপুর শহরে অপরাধের তালিকা বেশ দীর্ঘ। রাতের শহরে অল্পবয়সীদের বেপরোয়া বাইক চালানোর প্রবণতাও দিন-দিন বাড়ছে। এই সব ঠেকাতেই গত অগস্টে শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা বলেছিল খড়্গপুর পুরসভা। প্রাথমিকভাবে শহরের সব থেকে অপরাধপ্রবণ এলাকা খরিদা থেকে মালঞ্চর রাস্তায় নজরদারি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে সেই কাজ শেষের কথা থাকলেও তা হয়নি। দিনে দুপুরে শ্রীনু খুনের পরে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে শহরের নিরাপত্তার বিষয়টি।

তারপরই ফের নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। এ বার তারা বলছে, শুধু খরিদা থেকে মালঞ্চ নয়, শহরের সব বড় মোড়েই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। ইতিমধ্যে ঝাপেটাপুর মোড়ে নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়ে গিয়েছে। তবে তা চালু হয়নি। একযোগে সব ক্যামেরা চালু করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। আরও জানানো হয়েছে, একে একে ইন্দা, কৌশল্যা, পুরাতনবাজার, বড়বাতি, সেনচক, অরোরাগেটের মতো বড় সব মোড়েই নজরদারি ক্যামেরা বসানো হবে। প্রাথমিকভাবে ১২লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরে শুরু হয়েছে কাজ। এ জন্য পুরসভায় থাকছে কন্ট্রোলরুম। আর ভিডিও-র মান উন্নত করতে প্রতিটি ক্যামেরা অপটিক ফাইবার কেবল্‌ দিয়ে সংযুক্ত করা হচ্ছে। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “প্রতিটি বড় মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করেছি। মার্চের মধ্যেই কাজ শেষের ইচ্ছে রয়েছে। দুষ্কর্ম ও বেপরোয়া বাইক চালকদের ঠেকানোই লক্ষ্য।”

পুরসভার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন শহরবাসী। তবে শুধুমাত্র বড় মোড় নয়, প্রতিটি গলিপথকে নজরদারি ক্যামেরার আওতায় আনার দাবি তুলেছেন তাঁরা। তালবাগিচার বাসিন্দা রেলকর্মী সঞ্জীব ঘোষদ স্তিদার বলেন, “পুরসভার এই উদ্যোগে আমরা খুশি। তবে শুধু বড় মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসালে দুষ্কৃতীরা এই রাস্তা এড়িয়ে গলিপথে ঢুকবে। তাই গলিতে ঢোকা-বেরনোর মুখেও সিসি ক্যামেরা থাকলে ভাল হয়।” একই সুরে বুলবুলচটির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বীরেন মাইতির বক্তব্য, “ঝাপেটাপুর ও কৌশল্যা মোড়ে সিসিটিভি থাকলে এলাকায় অপরাধ করতে অনেকেই ভয় পাবে আশা করছি। কিন্তু গলিপথেও অনেক অপকর্ম চলে। পুরসভা নজর দিলে ভাল হয়।” এ ব্যাপারে পুরপ্রধানের বক্তব্য, “আমরা বিভিন্ন মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছি যাতে সব ক’টি এলাকা নজরদারিতে আনা যায়। টাকা এলে পরে আরও এলাকায় সিসি ক্যাম বসাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CCTV surveillance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE