Advertisement
০৫ মে ২০২৪
jhargram

করোনা হাসপাতাল হচ্ছে জঙ্গলমহলে

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বৃহস্পতিবার সব চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন।

ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল।

ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০২:১৬
Share: Save:

ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিকে তিনশো শয্যার করোনা হাসপাতাল করা হবে। এ জন্য জেলা সুপার স্পেশ্যালিটির জরুরি, শিশু, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ বাদে বাকি সব বিভাগ গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটিতে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনেই এই পদক্ষেপ করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

রাজ্য সরকার প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় ভাবে করোনা চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে সব রোগীকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিতে সিসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, ডায়ালিসিস, সিটিস্ক্যান, ভেন্টিলেটর, ডিজিট্যাল এক্স রে-সহ নানা পরিকাঠামো রয়েছে। ফলে, এক ছাদের তলায় করোনা চিকিৎসায় পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিতে কেবল জরুরি বিভাগ, স্ত্রীরোগ, প্রসূতি ও শিশু বিভাগ থাকবে। বাদবাকি সমস্ত বিভাগ গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটিতে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। তবে জেলা সুপার স্পেশ্যা‌লিটিতে জরুরি অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকছে।

করোনা বাদে সব রোগীকে জেলার বাকি দু’টি সুপার স্পেশ্যালিটিতে রাখার সিদ্ধান্তে সাধারণ রোগীদের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুরের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিমি আর নয়াগ্রামের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিমি দূরে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এখনও করোনার ভয়াবহতার দিকটা আমজনতার একাংশ বুঝতেই পারছেন না। তাই তাঁরা নিষেধ সত্ত্বেও পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। করোনায় যদি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়, তাহলে চরম বিপর্যয় ঘটবে। সব দিক খতিয়ে দেখেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বৃহস্পতিবার সব চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনিও বলেন, ‘‘বৃহত্তর স্বার্থে জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিতে কেন্দ্রীয় ভাবে করোনা সন্দেহে আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছি আমরা। সময়ের দাবিতে এটা সর্বসাধারণকে মেনে নিতেই হবে।’’ মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বাড়ানো হবে। জেলা করোনা হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী পর্যায়ক্রমে সাতদিন পরিষেবা দেবেন। তারপর ১৪ দিন বাড়িতে থাকবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE