Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ভুয়ো মাস্টার রোলে টাকা লোপাট, নালিশ

শুধু ব্লক প্রশাসন নয়, জেলা প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। কেন ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে এ ভাবে টাকা লোপাট করা হল? চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আব্দুল সাদেকের সঙ্গে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ০১:১৯
Share: Save:

ভুয়ো মাস্টার রোল বানিয়ে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর সদর ব্লকে। পাঁচখুরি-২ পঞ্চায়েতের গোবিন্দনগর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও ঋত্বিক হাজরা।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই ব্লক প্রশাসনের একটি পরিদর্শক দল এলাকা পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শক দল বিডিওর কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বিডিও। ঋত্বিকবাবু বলেন, “রিপোর্ট এখনও পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখব।”

মাস দু’য়েক আগে এই এলাকায় জমি সমতলীকরণের এক প্রকল্পের কাজ হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে কাজই হয়নি। শ্রমিকেরা কাজ করেননি। অথচ, কাজ হয়েছে দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। একশো দিনের কাজে এখানে লক্ষাধিক টাকা লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা অসিত দণ্ডপাট, আশিস বাগদের অভিযোগ, “জমি সমলতীকরণের এক প্রকল্পে কাজ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কাজ হয়েছে দেখিয়ে টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এখানে এমন কোনও কাজ হয়নি।”

শুধু ব্লক প্রশাসন নয়, জেলা প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। কেন ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে এ ভাবে টাকা লোপাট করা হল? চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আব্দুল সাদেকের সঙ্গে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কর্তার বক্তব্য, “এই অভিযোগ ঠিক নয়। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে! কাজটা কিন্তু হয়েছে।” ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। সামনেই ক্যাগের অডিট টিম আসার কথা। তার আগে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শুরু হয়েছে। সরেজমিন প্রকল্প দেখা হচ্ছে। ওই এলাকায় পরিদর্শক দল গিয়েছিল। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেছে।” তাঁর আশ্বাস, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।”

বস্তুত, একশো দিনের প্রকল্পে এমন দুর্নীতি, কারচুপির অভিযোগ নতুন নয়। মাস কয়েক আগে জেলায় এসে এমন একাধিক কারচুপি হাতেনাতে ধরে ফেলেছিল কেন্দ্রের পরিদর্শক দল। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “স্থানীয়স্তরে প্রকল্প পরিদর্শনের সময় ঘাটতি দেখা গেলে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করা হয়। এটা ঠিক, তবুও এই প্রকল্পে কিছু ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। কিছু দুষ্টচক্র হয়তো সক্রিয় থাকছে। ফের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতকে সতর্ক করা হবে!” তাঁর আশ্বাস, “সত্যি সত্যি যদি কোথাও চূড়ান্ত অব্যবস্থা থেকে থাকে তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ব্যবস্থা নেওয়া হবেই। প্রকল্প রূপায়ণে যাতে ঘাটতি না থাকে তা নিশ্চিত করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE