ঘেরাও: সাতটিকরি গ্রামে চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক থানার সাতটিকরি গ্রামে। প্রতারণায় অভিযুক্তের নাম, পঞ্চানন জানা। তাঁর বাড়ি নন্দকুমার থানার দক্ষিণ শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চানন নিজেকে বিজেপি-র কিষান মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য পরিচয় দিয়ে ৩৯জন বেকার যুবককে ঠকিয়েছেন। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁদের থেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা সৌমিত্র মণ্ডল বলছিলেন, ‘‘দীর্ঘদিন পরেও ঋণ না পেয়ে আমরা বুঝতে পারি প্রতারিত হয়েছি। পরে নন্দকুমার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেখানেও অনেকের কাছে টাকা নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।’’
আরও দু’জন ঋণ নিতে আগ্রহী, এমনটা বলেই এ দিন সকালে সাতটিকরি গ্রামে ডেকে আনা হয় পঞ্চাননকে। সেখানে হাজির ছিলেন ৩৯জন প্রতারিত। পঞ্চানন জানা আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দীনেশ কর বলেন, “ওই ব্যক্তির ব্যাগ থেকে বিজেপির বেশ কিছু দলীয় কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে। তবে আমরা গ্রামবাসীকে বলেছি, আইন নিজের হাতে তুলেনা নিয়ে ওঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিন।”
এ দিন খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ সাতটিকরিতে আসে। তারপর পঞ্চাননকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে লিখিত অভিযোগ না থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিজেপি-র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি মলয় সিংহের সঙ্গে এ দিন বারবার চেষ্টা করেও মোবাইলে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে দলের জেলা কোষাধ্যক্ষ নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘পঞ্চানন জানাকে ছ’মাস আগেই দল থেকে বহিষ্কার করেছেন রাজ্য নেতৃত্ব।’’ যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নন্দকুমারের স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা জানালেন, পঞ্চানন এখনও দলের প্রচারের কাজে যুক্ত এবং জেলা নেতৃত্বের একাংশের মদতেই তিনি এই প্রতারণার জাল পেতে বসেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy