সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই ছবিই। নিজস্ব চিত্র।
সোমবারই দলীয় সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি লিপিকা জানা হাজরা। মঙ্গলবার পাঁশকুড়া থানায় নিগ্রহের অভিযোগ করলেন তৃণমূলের পাঁশকুড়ার ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা মাইশোরা পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান কুরবান শাহ। অভিযুক্ত তাঁরই দলের জেলা যুব সভাপতি আনিসুর রহমান।
কুরবান শাহের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে পঞ্চায়েতের কাজে তিনি বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন। সে সময় আনিসুর রহমান ও তাঁর দেহ রক্ষীরা তাঁকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেন। বচসার সময় আনিসুর চড়-থাপ্পর মারেন কুরবানকে। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কুরবান শাহ এ দিন বলেন, ‘‘বিডিও অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই ঘটনার সত্যতা জানা যাবে। লিপিকা জানা হাজরাকে সমর্থন জানিয়েছিলাম। তাই এই নিগ্রহ।’’
পাঁশকুড়া-১ ব্লকে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা জানা হাজরার বিরুদ্ধে দলের অধিকাংশ সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করে দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর কাছে আবেদন করেছিলেন। শিশিরবাবু সব সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে ১৮ অক্টোবর চিঠি দিয়ে লিপিকাদেবীকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু লিপিকাদেবী পদত্যাগ করেননি। সোমবার তিনি অফিসে গেলে বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন তাঁকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। সে দিনই কুরবান শাহেরও উপরও নিগ্রহ হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাইশোরা এলাকার তৃণমূল নেতা, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায় দীর্ঘদিন ধরেই কুরবান শাহের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত। মূলত সুজিতবাবুর নেতৃত্বেই লিপিকাদেবীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূল সদস্যরা। সুজিতবাবু আবার আনিসুর-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। রবিবারই তমলুকের কর্মিসভায় গোষ্ঠীকোন্দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নিমতৌড়িতে কর্মিসভা করবেন সুব্রত বক্সী। তার আগে তৃণমূল জেলা যুব সভাপতির হাতে দলেরই ব্লক কার্যকরী সভাপতি মার খাওয়ার অভিযোগে শাসকদলের অন্দরে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি।
যদিও কুরবানের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে আনিসুর রহমান বলেন, ‘‘এ দিন ১০টি মোটর বাইকে লোকজন নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে এসেছিল কুরবান। সে সময় আমাদের লোকজনের সঙ্গে ওদের বচসা-হাতাহাতি শুরু হয়। আমি বরং গিয়ে মধ্যস্থতা করেছিলাম।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী অবশ্য বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy