Advertisement
০১ মে ২০২৪
Durga Puja Dhakis

পুজো শেষে নতুন জামা হাতে ঘরে ফেরা

স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার বাস ধরার আগে মেচেদায় একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও সেরে নিচ্ছেন।

ঢাকিদের বাড়ি ফেরা। মেচেদা স্টেশনে।

ঢাকিদের বাড়ি ফেরা। মেচেদা স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:২৭
Share: Save:

পুজোর আগেই বায়না পেয়েছিলেন। সংসারের হাল সামাল দিতে সেই বায়না মতো শারোদৎসবে তাঁদের কেটেছে ভিন্ জেলা থেকে ভিন্ রাজ্যের পুজো মণ্ডপে। পুজো শেষ। পাওনা গন্ডা বুঝে এবার তাই ঘরে ফেরার পালা ঢাকিদের।

দুর্গাপুজো মানেই ঢাকের বাদ্যি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকিরা এই সময় কলকাতা, ভিন্‌ রাজ্যে পাড়ি দেন। দশমীর পরে গত কয়েকদিন জেলার প্রবেশদ্বারের স্টেশন মেচেদায় সেই ঢাকিদেরই ভিড় দেখা যাচ্ছে। কেউ ফিরছেন মুম্বই থেকে, কেউ আবার ফিরছেন দিল্লি, অসম থেকে। হলদিয়ার হাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা অনুকূল দাস এবার গিয়েছিলেন দিল্লি। হেঁড়িয়ার অদূরে ইটাবেড়িয়া থেকে আরও পাঁচ কিমি দূরে জুখিয়া বাজারের বাসিন্দা প্রদীপ ঘোড়াই, মনোরঞ্জন ঘোড়াই গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের নাসিক। প্রদীপ জানাচ্ছেন, গ্রামের এক ব্যক্তি সেখানে কাজ করেন। তিনিই যোগাযোগ করিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন নাসিকে। পুজোয় রোজগার সেরে ফেরার পরে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনছেন তাঁরা নতুন পোশাক। প্রদীপের কথায়, ‘‘স্ত্রীর জন্য শাড়ি এনেছি। আর ছেলেমেয়েদের জন্য জামাকাপড়।’’

স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার বাস ধরার আগে মেচেদায় একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও সেরে নিচ্ছেন। সেই ফাঁকে তপন রুইদাস, স্বপন রুইদাস বলছেন, ‘‘সরাইঘাট এক্সপ্রেসে আসা যাওয়ার টিকিট ছাড়া পেয়েছি ২৬ হাজার টাকা। স্ত্রীর জন্য শাড়ি এনেছি। এছাড়া পুরনো জামাকাপড়ও বিস্তর পেয়েছি।’’ গত কয়েকদিন ফোনে ভিডিয়ো কলে দেখা হয়েছে পরিবারের সঙ্গে। এখন তাঁদের সঙ্গেই আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার পালা ঢাকিদের।

সর্বত্রই মোটামুটি ঢাকিদের বাড়ি ফেরার এই ছবি দেখা গেলেও ব্যতিক্রম হলদিয়া শহরের কয়েকজন ঢাকি। তাঁরা আপাতত ঘরে ফিরছেন না। তাঁরা যাচ্ছেন গ্রামীণ হলদিয়ার চাউলখোলা শিবরাম নগর, শোভারামপুর গ্রামে। লক্ষ্মী পুজোর মণ্ডপে। ওই কয়েকটি গ্রামে লক্ষ্মী পুজোতেই শারদোৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিন দিন ধরে হয় পুজো। দুর্গা পুজোর জন্য হলদিয়া শহরে এসেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার শঙ্কর মান্না, বাদল মান্নারা। শঙ্কর মান্না বলেন, "চাউলখোলা শিবরামনগর শোভারামপুরের লক্ষ্মী পুজো আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা। এমনিতে এই পুজো একদিনের হয়। কিন্তু এখানে তা হয় তিনদিনের। এতে আমাদের যাতায়াতের খরচ উঠে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE