Advertisement
০৬ মে ২০২৪

জমি পড়ে আছে, মাঠ করার টাকা নেই

সাড়ে তিন দশকেও স্বপ্ন সাকার হল না বেলদাবাসীর। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা দাবি করে আসছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর নায়ায়ণগড় ব্লকের প্রধান শহর বেলদায় একটি স্টেডিয়াম হোক।

নিষ্ফলা: এই জমিতে অর্থাভাবে তৈরি হয়নি স্টেডিয়াম। —নিজস্ব চিত্র।

নিষ্ফলা: এই জমিতে অর্থাভাবে তৈরি হয়নি স্টেডিয়াম। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০১:৩১
Share: Save:

সাড়ে তিন দশকেও স্বপ্ন সাকার হল না বেলদাবাসীর। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা দাবি করে আসছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর নায়ায়ণগড় ব্লকের প্রধান শহর বেলদায় একটি স্টেডিয়াম হোক। ১০ একরের কিছু বেশি একটি জমি পড়ে থাকলেও অর্থের অভাবে স্টেডিয়াম গড়ে তোলা যায়নি। বিকল্প মাঠ না থাকায় ব্লক স্তরের নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে ভরসা বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমির মাঠ।

স্কুলের মাঠে রাজনৈতিক সমাবেশ ছাড়াও নানা ক্লাবের ক্রিকেট-ফুটবল প্রতিযোগিতা, অনুশীলন, ক্যাম্প হয়। সকালে, বিকেলে হাঁটতে এই মাঠই ভরসা। প্রধান শিক্ষক ননীগোপাল শীটের অভিযোগ, ‘‘এই মাঠেই খেলা, মেলা, সভা, পুজো সব কিছুই হয়। কিন্তু মাঠ রক্ষণাবেক্ষণ হয় না।’’ তিনি জানান, এই নিয়ে প্রশাসনে আবেদন জানিয়ে কাজ হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পশ্চিম দিকে মাঠের একাংশ দখল করে বাড়ি বানিয়ে বসে রয়েছে কয়েক জন। মাঠের সীমানা প্রাচীর দিতে গিয়েও বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি। প্রাচীর না থাকায় দিনে গরু-ছাগল ও রাতে দুষ্কৃতীদের আড্ডা বসছে।’’

এই অঞ্চলে অন্য মাঠ না থাকায় সে ভাবে খেলাধুলোর প্রসার হচ্ছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা জানিয়েছেন, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে, বেলদা স্টেশন থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে স্থানীয় এক ক্লাবের ১০ একর জমি রয়েছে। তাতে স্টেডিয়াম হলে মাঠের অভাব মিটবে।

খেলায় নানা সাফল্যের পুরস্কার হিসাবে ১৯৮৩ সালে যুব কল্যাণ দফতরের তরফে পঁচিশ হাজার টাকা পেয়েছিল বেলদা অ্যাথলেটিক ক্লাব। স্থানীয়দের থেকেও কিছু সাহায্য নিয়ে সেই সময়ে প্রায় পনেরো একর জমি কেনে তারা। ৪ একরের বেশি জায়গা ছাড়া হয় বিডিও ও বিএলএলআরও অফিসের জন্য। বাকি জমিতে মাঠ তৈরির জন্য মাটি ফেলা হয়। সম্প্রতি ক্লাবের পক্ষ থেকেও সেখানে কিছু মাটি ফেলা হয়েছে। ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প চলছে জমির একটি অংশে।

মাঠের পাশেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ও বেলদা স্টেশনে থেকে এক কিমি দূরে এত বড় একটা জায়গায় স্টেডিয়াম করা হলে এলাকায় মাঠের অভাব দূর হত বলে মনে করেন ক্লাব সদস্যরা। তাঁদের আক্ষেপ, ‘‘আমাদের দুর্ভাগ্য জমি কেনার ৩৪ বছরেও মাঠ সমতল করে প্রাচীর দিতে পারিনি।’’

এই প্রসঙ্গে বিডিও মানিক সিংহ মহাপাত্র বলেন, ‘‘জমিতে মাঠ করতে গেলে জেলার যুব দফতরে লিখিত আবেদন করতে হয়।’’ জেলা যুব আধিকারিক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, ‘‘ক্লাবের নিজের জমিতে খেলার মাঠ করতে হলে জমির কাগজপত্র-সহ এস্টিমেট বানাতে হবে। বিডিও এবং বিধায়কের সই করানোর পর তা জমা দিতে হবে জেলাশাসকের দফতরে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Stadium Belda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE