Advertisement
০৫ মে ২০২৪
বকেয়া বিল মেটানোর প্রতিশ্রুতি

ছ’দিন পর পরিস্রুত জল পেলেন শিলদার বাসিন্দারা

অবশেষে ৬ দিন পরে বৃহস্পতিবার পরিস্রুত পানীয় জল পেলেন শিলদার বাসিন্দারা। শিলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হরেন্দ্রনাথ মাহাতোর লিখিত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এ দিন শিলদার পাম্প হাউসে বিদ্যুত্‌ সংযোগ ফিরিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিদ্যুত্‌ বন্টন সংস্থা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এদিনই প্রধান হরেন্দ্রনাথবাবু রাজ্য বিদ্যুত্‌ বন্টন সংস্থার ঝাড়গ্রামের ডিভিশনাল ম্যানেজারকে লিখিতভাবে জানান, এক মাসের মধ্যে শিলদা জল প্রকল্পের বকেয়া বিলের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০১:০২
Share: Save:

অবশেষে ৬ দিন পরে বৃহস্পতিবার পরিস্রুত পানীয় জল পেলেন শিলদার বাসিন্দারা। শিলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হরেন্দ্রনাথ মাহাতোর লিখিত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এ দিন শিলদার পাম্প হাউসে বিদ্যুত্‌ সংযোগ ফিরিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিদ্যুত্‌ বন্টন সংস্থা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এদিনই প্রধান হরেন্দ্রনাথবাবু রাজ্য বিদ্যুত্‌ বন্টন সংস্থার ঝাড়গ্রামের ডিভিশনাল ম্যানেজারকে লিখিতভাবে জানান, এক মাসের মধ্যে শিলদা জল প্রকল্পের বকেয়া বিলের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এদিন বিদ্যুত্‌ বন্টন সংস্থার কর্মীরা গিয়ে শিলদার পাম্প হাউসে সংযোগ ফিরিয়ে দেন। তবে পঞ্চায়েত প্রধান কেবলমাত্র শিলদা প্রকল্পের বকেয়া বিল মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বড়শুকজোড়া গ্রামের জল প্রকল্পের দু’টি পাম্প হাউসের বকেয়া বিল মেটানোর ব্যাপারে কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি পঞ্চায়েত প্রধান। ফলে, ওই দু’টি পাম্প হাউসের বিদ্যুত্‌ সংযোগ এখনও পর্যন্ত বিচ্ছিন্নই রয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ নির্জলা থাকার পরে এদিন শিলদার ট্যাপ গুলিতে জল আসায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন বসিন্দারা। অন্যদিকে, বড়শুকজোড়া গ্রামে জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় ক্ষোভ বেড়েছে বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বড়শুকজোড়া গ্রামে সিপিএম সমর্থক বেশি। তাই এই গ্রামের জল সরবরাহ প্রকল্পের বকেয়া বিল মেটানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়নি পঞ্চায়েত-কর্তৃপক্ষ। পঞ্চায়েত প্রধান হরেন্দ্রনাথবাবুর সাফ কথা, “আমি কী করব, সেটা কী সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে শিখব?” এই পরিস্থিতিতে বড়শুকজোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ আগামী সোমবার শিলদা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিদ্যুত্‌ বন্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলদা পাম্প হাউসের সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। বড় শুকজোড়ার দু’টি পাম্প হাউসের ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৮৫ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। বার বার জানানো সত্ত্বেও শিলদা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বিল না মেটানোয় গত শুক্রবার তিনটি পাম্প হাউসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুত্‌ বন্টন সংস্থা। প্রধান কেবলমাত্র শিলদা পাম্প হাউসের সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বকেয়া বিল মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বড়শুকজোড়ার বাসিন্দারা বিস্মিত।

রাজ্য বিদ্যুত্‌ বন্টন সংস্থার ঝাড়গ্রামের ডিভিশনাল ম্যানেজার উজ্জ্বল রায় বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান লিখিত ভাবে এক মাসের মধ্যে বিল মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় শিলদা পাম্প হাউসের বিদ্যুত্‌ সংযোগ ফের চালু করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে বিলের টাকা জমা না দেওয়া হলে ফের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।”

বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বংশীবদন মাহাতোকে ফোনে ধরা হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমি আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলতে অনিচ্ছুক।” তবে এলাকাবাসীর বক্তব্য, মাসের পর মাস পঞ্চায়েতের বকলমে শাসক দলের লোকেরা শিলদাবাসীর কাছ থেকে জল-কর আদায় করেছেন। টাকা আদায় হলেও কেন সময় মতো বিদ্যুতের বিল মেটানো হয়নি? এই প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছেন না পঞ্চায়েত-কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, গত দু’বছর বড়শুকজোড়ার বাসিন্দাদের কাছ থেকে কোনও জল-কর আদায় করা হয়নি বলে এলাকাবাসীর দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drinking water Belpahari jhargram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE