নয়াগ্রামের দেউলবাড় এলাকায় মৃত রেসিডেন্ট দাঁতাল হাতিটি। নিজস্ব চিত্র।
হৃদ্্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাতির! পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম ব্লকের দেউলবাড় এলাকায় একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল পুরুষ হাতির মৃত্যুর পরে এমনই দাবি করছে বন দফতর। বৃহস্পতিবার ভোরে খড়্গপুর বনবিভাগের চাঁদাবিলা রেঞ্জের অন্তর্গত টিয়াকাটি জঙ্গলের কাছে একটি রায়তি বাগানে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা। ঘটনাস্থলে যান খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ।
বাসিন্দারা জানান, রেসিডেন্ট হাতিটি প্রায়ই এলাকার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত। বুধবার সন্ধ্যায় হাতিটি সুবর্ণরেখা পেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইলের দিকে চলে গিয়েছিল। অনুমান, ভোর রাতে হাতিটি নদী পেরিয়ে নয়াগ্রামে চলে আসে। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল হাতিটির? ময়না তদন্তের পরে প্রাণি চিকিৎসকদের দাবি, হাতিটির হৃৎপিণ্ডে অস্বাভাবিক রকমের চর্বি জমে গিয়েছিল। হৃৎপিণ্ডের অলিন্দে এবং রক্ত সংবহনকারী ধমনীগুলিতে চর্বি জমে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার ফলেই হাতিটির ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। এমতিতে বছর পঞ্চাশের বিশাল বপুর দাঁতাল হাতিটির শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে বয়সজনিত কারণে হাতিটির চোখে ছানি পড়ে গিয়েছিল।
খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, হাতিদের স্বাভাবিক খাদ্য হল জঙ্গলের ফডার জাতীয় গাছপালা, ঘাসপাতা। কিন্তু রেসিডেন্ট হাতিরা এলাকার খেতের সব্জি, ধান ও আখের মতো মুখরোচক খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হওয়ার ফলে হাতিদের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন হচ্ছে কি-না এটা গবেষণার বিষয়। প্রাণি চিকিৎসকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদপিণ্ড বন্ধ হওয়ায় হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের পরে হাতির দেহটি টিয়াকাটির জঙ্গলের কাছে পোড়ানোর কাজ শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy