হতাশ: রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র
খোলাবাজারে খুব কম দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। সরকারি ভাবে ধান কেনাতেও তেমন গতি নেই। প্রতিবাদে মেদিনীপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করল সিপিএমের কৃষক সংগঠন কৃষকসভা। দলের খেতমজুর সংগঠনও এই কর্মসূচিতে সামিল হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুরে মিছিল করেন সংগঠনের কর্মী- সমর্থকেরা। বিদ্যাসাগর হলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন ব্লকের কৃষকসভা ও খেতমজুর সংগঠনের কর্মীরা তাতে পা মেলান। শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে মিছিল পৌঁছয় কালেক্টরেট মোড়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে। সেখানে রাস্তায় আলু ফেলেও প্রতিবাদে সরব হন কৃষকেরা। কৃষকসভার বক্তব্য, রাজ্য সরকার কৃষকদের প্রতি উদাসীন। কৃষকেরা খুব কম দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। চাষের খরচটুকুও তুলতে পারছেন না। অথচ, সরকারের এদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার গতিও শ্লথ। বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এ দিন কালেক্টরেট মোড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। অবশ্য কৃষকসভার কর্মসূচি ঘিরে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি। মিছিল- বিক্ষোভের জেরে শহরে যান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়। সরকার কৃষকদের স্বার্থে সর্বত্র সহায়ক মূল্যে ফসল কেনার ব্যবস্থা না করলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষকসভা।
লাভের মুখ দেখতে চাষিরা দাবি করেছিলেন হিমঘর খুলতে হবে। কিন্তু তাতেও তেমন লাভ হল না। ফলন বেশি হওয়ায় এ বছরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আলুচাষিরা।
চলতি মরসুমে আলুর ফলন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে দাবি করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের চাষিরা। ফলে এখনও প্রতি বস্তা (৫০ কিলো) আলুর দাম ১৫০-১৭৫ টাকায় ঘোরাফেরা করছে। অথচ এখনও বেশিরভাগ আলুই খেতে রয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, জেলায় এ বার ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। তোলা হয়েছে মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ আলু। চাষিরা আশা করেছিলেন হিমঘর খুললে আলুর দাম চড়তে পারে। কিন্তু সে গুড়ে বালি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy