হাসপাতালের শয্যার অভাব। বাধ্য হয়েই রোগীদের রাখতে হয় মেঝেতে। সেই সমস্যা সমাধানে এ বার ‘ফোল্ডিং বেড’ কেনার বিষয়ে উদ্যোগী হল তমলুক জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ছিল জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার গোপাল দাস।
এ দিন হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি, রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও। পুরুষ ও শিশু বিভাগে গিয়ে শুভেন্দু খোঁজ খবর। সে সময়ই নজরে আসে বেশ কয়েকজন রোগীকে মেঝেতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালের মেঝেতে যাতে কোনও রোগীকে রাখতে না হয়, সে জন্য শয্যা বাড়াতে হবে।’’
কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে খবর শয্যা বাড়ানোর অনুমোদন থাকলেও সে পরিকাঠামো নেই। ২০০২ সালে জেলা হাসপাতাল তৈরির সময় যত সংখ্যক শয্যা ছিল, তার থেকে সামান্য কিছু বেড়েছে। কিন্তু জায়গা বাড়েনি। ফলে প্রায় ৫০০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও, এখন শয্যা আছে ৩০০-র কাছাকাছি। সে বিষয়ে আলোচনা করা হয় এ দিনের বৈঠকে। সুপার গোপাল দাস বলেন, ‘‘শয্যা সমস্যা কাটাতে ১০০ টি ‘ফোল্ডিং বেড’ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে। রোগীর চাপ বাড়লে এই সব শয্যা ব্যবহার করা হবে। না হলে তা গুটিয়ে রাখা যাবে।’’
তবে পরিকাঠামো বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সুপার জানান, সংক্রামক রোগীদের চাপ বাড়ছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডটিও সম্প্রসারণ করা দরকার। তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের নিকাশি উন্নয়নের জন্য হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ সম্প্রতি ৪৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বার থেকে রোগীদের জলের জন্য কাগজের গ্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy